মইদুলের মৃত্যুতে তপ্ত রাজনীতি, সরকারের বিরুদ্ধে সরব সুজন-মান্নানরা

১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে(Nabannaaviyan) গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হন DYFI নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার। সোমবার হাসপাতলে মৃত্যু হয় তার। মইদুলের মৃত্যুর ঘটনায় এদিন রীতিমতো তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করলেন সুজন চক্রবর্তী(Sujan Chakraborty) ও আবদুল মান্নানরা(Abdul Mannan)। পাশাপাশি এই ঘটনার পর তাদের আন্দোলন আরো তীব্র হয়ে উঠবে এদিন সে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জোটের নেতারা।

সোমবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘স্বাভাবিক দাবি নিয়ে নবান্নে পৌঁছতে চেয়েছিল ছাত্ররা। সেই আন্দোলনে থাকা মইদুল ইসলাম মিদ্দাকে পুলিশ খুন করেছে। এই ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। নবান্ন আন্দোলনে শহিদ হলেন মইদুল। আর কত লাশ চাই সরকারের?’ এরপরই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশের ন্যক্কারজনক এই হামলার বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ চলবে।’ পাশাপাশি সেদিনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হয়ে উঠছে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানকেও।

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। সেদিনের পুলিশের অত্যাচারে অনেকে এখনও হাসপাতালে। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। দিদিও তো অনেক গণআন্দোলন করেছেন, এবার উনি কী বলবেন?’ শুধু তাই নয়, সেদিন নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে আসা পূর্ব মেদিনীপুরের দীপক পাঁজা নিখোঁজ হন। ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশ্য সোমবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যেকোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশের মারে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর সেটা জানা যাবে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ‘যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে তার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে চাকরি ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে সরকার।’

আরও পড়ুন:মায়ের রান্নাঘরে ৫ টাকায় পেট ভরে খাবার: নজিরবিহীন প্রকল্প বললেন মমতা

উল্লেখ্য, চাকরি শিক্ষাসহ একাধিক দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বামছাত্র সংগঠন। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর। ছাত্র-যুবদলের আটকাতে ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সঙ্গে ছিল জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস। জানা যায়, সেদিনের ঘটনায় ৪০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মইদুল। সোমবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

Advt

Previous articleমায়ের রান্নাঘরে ৫ টাকায় পেট ভরে খাবার: নজিরবিহীন প্রকল্প বললেন মমতা
Next articleশুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মাতামাতিতে কি আগ্রহী নয় উত্তরবঙ্গের আদি বিজেপি, কিশোর সাহার কলম