আপাতভাবে স্তিমিত মনে হলেও ধিকিধিকি জ্বলছে কৃষক আন্দোলনের (Farmer’s Protest) আগুন। রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের টুইটের প্রতিবাদে যেভাবে ভারতীয় তারকারা একের পর এক মন্তব্য করেছিলেন তাতে আলোচনা হওয়াই স্বাভাবিক। প্রশ্ন ছিলই, সচিন তেন্ডুলকার (Sachin Tendulkar), বিরাট কোহলি (Virat Kohli) কিংবা লতা মঙ্গেশকররা (Lata Mangeshkar) আদৌ স্বেচ্ছায় টুইটগুলো করেছিলেন কি না সে ব্যাপারে। এবার সরাসরি বিজেপি’র আইটি সেল এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির দিকে আঙুল তুললেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
অনিল দাবি করেছেন, তদন্তের পর তাঁরা জানতে পেরেছেন যে ‘ভারতরত্ন’দের সরকারদরদী টুইটের পিছনে রয়েছে বিজেপি’র আইটি সেল (BJP IT Cell) এবং ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। মজার বিষয় হলো তারকারা যে টুইটগুলি করেছিলেন সে টুইটগুলি বার্তা ছিল একই। ভারতবাসীকে একতা হওয়ার কথা বলে হয়েছিল টুইটগুলোতে। আবার অক্ষয় কুমার এবং সাইনা নেহওয়ালের টুইট ছিল একেবারে একইরকমের। এরপরেই মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা তদন্তে নামবে। ভারতীয় তারকাদের টুইটের পিছনে আসল কারণ তারা খুঁজে বের করবে।
যদিও গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে একেবারেই সমর্থন জানানো হয়নি এই সিদ্ধান্তকে। বরং সচিন, বিরাটদের শিব সেনা, কংগ্রেস, এনসিপি জোট সরকার অপমান করতে চাইছে বলে অভিযোগ করে তারা। তবে এসবে কান না দিয়ে নিজেদের তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্র সরকার। এরপর অনিল দেশমুখ বলেন, ওই টুইটগুলোর নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি আইটি সেল এবং ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। যদিও তাদের নাম এখনও প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কোনও শিল্পীকে অপমান করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। লতা মঙ্গেশকর, সচিন তেন্ডুলকাররা বিশ্ববরেণ্যে এবং ঈশ্বর তুল্য।
আরও পড়ুন: পারিবারিক সমস্যা তুলে কেন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে? শোভন–বৈশাখীকে প্রশ্ন বিজেপির