পুরশুড়ার রোড-শো-তে জনজোয়ার: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ কুণালের

মোদি সরকারের লাগাতার জ্বালানি বৃদ্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। জনসভা থেকে এই নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেন তিনি। বুধবার, পুরশুড়ায় প্রথমে ‘দিদির দূত’ হিসেবে রোড শো করেন কুণাল ঘোষ। কৃষিভিত্তিক এলাকা। কাজের দিন সকাল সাড়ে এগারোটা। সঙ্গে বৃষ্টি। কিন্তু এই সবকিছু উপেক্ষা করে রোড-শোয়ে বিপুল জনসমাগম হয়। তৃণমূলের (Tmc) কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি এই রোড শোতে অংশ নেন অনেক স্থানীয় মানুষ। এমনকী, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কুণালদের অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে জনসভাতেও সেই ভিড়ের প্রতিফলন লক্ষ্য করা গিয়েছে।

কুণাল ঘোষ বলেন, লোকসভা ভোটের নিরিখে পুরশুড়া বিধানসভা এলাকায় বিজেপি (Bjp) কিছুটা ভোটে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ধর্মীয় বিভেদের রাজনীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মিথ্যে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া বিজেপিকে এই বিধানসভা নির্বাচনে উৎখাত করার ডাক দেন কুণাল। বিজেপির “জয় শ্রীরাম” স্লোগানকেও এদিন কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “জয় শ্রীরাম” বললে কি পেট্রোল পাম্পে (Petrol Pump) কম দামে জ্বালানি পাওয়া যাবে? জ্বালানির দাম বাড়লে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে হু হু করে।

কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের নামে মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কুণাল। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, বাংলা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সবার জন্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। অথচ কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের সুবিধা সবাই পাবে না। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের জন্য কার্ড করতে নিজেদের টাকাও দিতে হচ্ছে।

কুণাল বলেন, রাম নিয়ে বিজেপির এত মাতামাতি। অথচ সীতার বিষয়ে তাদের কোনও শ্রদ্ধা নেই। চরম লাঞ্ছনা-অপমানে সীতাকে পাতাল প্রবেশ করতে হয়েছিল। বিজেপি নারীদের সম্মান করে না- অভিযোগ কুণালের।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনুকূল্যে সব সুযোগ পেয়ে যাঁরা ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন সভা থেকে সেই দলবদলুদের তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari), রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের (Rajiv Banerjee) উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পুরো সময় মন্ত্রিত্ব উপভোগ করার পর ভোটের আগে কেন তাঁদের মনে হল যে এই দলে আর থাকা যাচ্ছে না! মঞ্চে যখন কুণাল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দলবদলুদের নাম উচ্চারণ করছেন, তখন জনসভা থেকে আওয়াজ উঠেছে “গদ্দার”।

তিনি বলেন, দলে থেকে কারও দলের প্রতি কোনো ক্ষোভ ও অসন্তোষ জন্মাতে পারে। কিন্তু সেইসব ভুলে এখন লড়াইয়ের সময়। কুণাল আশা প্রকাশ করেন, তৃতীয়বার বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যা ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে সেসব তখন বুঝে নেওয়া যাবে। এখন সব তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থককে একজোটে বিধানসভার নির্বাচনে লড়াইয়ের বার্তা দেন তৃণমূল মুখপাত্র।

আরও পড়ুন:বিপ্লবের মন্তব্যে আপত্তি নেপালের

Advt

Previous articleবিপ্লবের মন্তব্যে আপত্তি নেপালের
Next articleআর প্রার্থী নয়, রাজনীতি ছাড়তে চেয়ে মমতাকে চিঠি চিরঞ্জিতের