কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের কলকাতা-সহ রাজ্যের ১০ জায়গায় CBI অভিযান

কয়লা পাচারকাণ্ডে ফের কলকাতা-সহ রাজ্যের ১০ জায়গায় অভিযান CBI-এর। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই কলকাতা, পুরুলিয়া, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়ার মোট ১০ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল, বৃহস্পতিবার কয়লা পাচারকাণ্ডের মূল মাথা অনুপ মাজির শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানে একাধিক সূত্র মেলার পর এদিন আসানসোলে জয়দেব মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পুরুলিয়ার সাতোরিযার বলিতোড়ায় অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী গুরুপদ মাজির বাড়ি ও অফিস সমেত চার জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই।

Advt

আরও পড়ুন-সরস্বতীপুজোর পরেও বজরং দলের ফতোয়া পোস্টার, ক্ষুব্ধ পুরুলিয়া

সূত্রের খবর, এই দুই ব্যক্তিই কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। জানা গিয়েছে, সিপিএম-এর আমলে কয়লা পাচারের গোটা সাম্রাজ্য ছিল জয়দেব মণ্ডলের হাতে। এরপর ২০১১ সালে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে জয়দেবকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু হাতিয়ারও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপর জামিনে মুক্তি পান তিনি। পুরুলিয়ায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে গুরুপদ মাজির বলে অভিযোগ, লালার ব্যবসায় অংশীদার হওয়ার সুবাদেই এই প্রতিপত্তি বলে মনে করেন অনেকে। এছাড়া, বাঁকুড়ার মেদিয়ার তারাপুরের অমিয় স্টিল ফ্যাক্টরিতে হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা বলে খবর। এই ফ্যাক্টরিটির অফিস হচ্ছে কলকাতার লেনিন সরণিতে। অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালা ও তার সঙ্গী রত্নেশ ভার্মার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। এই আবেদনের বিষয়ে এদিন চূড়ান্ত রায় দেয়নি আদালত।

Previous articleনিয়োগের দাবিতে কলেজ স্ট্রিটে টানা অনশনে এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা
Next articleঅর্জুনকে নিয়ে মুখ খুললেন জয়বর্ধনে