উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি: সংক্রমণ ঠেকাতে মহারাষ্ট্রের দুই জেলায় ফের ‘লকডাউন’

ফের করোনা নিয়ে উদ্বেগ মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুটি জেলা নতুন করে লকডাউন জারি করেছে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhab Thakre) প্রশাসন। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিদর্ভ (Bidarv) অঞ্চলের দুই জেলা- যবৎমাল ও অমরাবতীতে লকডাউন জারি হচ্ছে। যবৎমালে শনিবার রাত থেকে আগামী দশ দিন ‘লকডাউন’ (Lockdown) থাকবে। যবৎমালে ২৮ তারিখ পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ। ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ। বিয়েতে নিমন্ত্রিতের সর্বোচ্চ সংখ্যা পঞ্চাশ। শনিবার রাত ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে অমরাবতী জেলায়। জরুরি পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।

কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যগুলি লকডাউন করতে চাইলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। সেই কারণেই জেলাশাসকদের লেখা মহারাষ্ট্র সরকারের চিঠিতে ‘লকডাউন’ শব্দটি নেই। সেখানে তিন জেলার বিশেষ কিছু এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশে এবার করোনার নতুন প্রজাতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্রে এর প্রভাব ফের নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের কপালে। মুম্বইতে ১০ হাজারের বেশি বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

বিদেশ থেকে ভারতে আসা চারজনের মধ্যে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) প্রজাতি মিলেছে। এক জনের মধ্যে ব্রাজিলীয় (Brazil) প্রজাতি মিলেছে। তিনিও বিদেশ থেকেই এসেছেন। এর প্রেক্ষিতে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

• ভারতে আসার বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।

• সেই রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই আসার অনুমতী মিলবে।

• পরিবারের কারও মৃত্যুর খবর পেয়ে যাঁরা ভারতে আসছেন, তাঁদের শুধু ছাড় দেওয়া হবে।

• বিমান বন্দরে নামার পরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়লে আইসোলেশনে রাখা হবে।

• ব্রিটেন, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা যাত্রীদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।

• করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ফোন করে জানাতে হবে।