লাল গ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম নয়, আর সেই লালগ্রহের রহস্য সন্ধানে সম্প্রতি সফল মার্স মিশনে লালগ্রহের মাটিতে পা রেখেছে নাসার মহাকাশযান। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এই সাফল্যে উৎসাহিত গোটা বিশ্ব কথা বাংলার বহু মানুষ। আর হওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ, নাসার মঙ্গলযানের সঙ্গে মঙ্গলের মাটিতে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ব তথা পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষের নাম।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘মার্স ২০২০'(Mars 2020) মিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর গোটা বিশ্ববাসীকে এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত করতে এক অভিনব পদক্ষেপ নেয় নাসা(NASA)। সংস্থার তরফে একটি ওয়েবসাইটে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশ নিতে বলা হয়। ওই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করলে প্রত্যেককে দেওয়া হয় ‘মার্স ২০২০’ মিশনের একটি বোর্ডিং পাস(Boarding pass)। পাশাপাশি সংস্থা এটাও জানায়, যারা যারা এই বোর্ডিং পাস পাবে তাদের প্রত্যেকের নাম একটি মাইক্রোচিপের মাধ্যমে পাঠানো হবে নাসার মহাকাশযানে। সেভাবেই সারা পৃথিবী থেকে ১,০৯,৩২,২৯৫ জনের নাম মাইক্রোচিপে পাঠানো হয়। এই তালিকাতেই রয়েছেন শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শৌনক দাস, কলকাতার সুপর্ণা দে, অভিজিৎ পাত্র সহ আরও অনেকে। স্বাভাবিকভাবেই নাসার এই সফল অভিযানে খুশিতে সেই সমস্ত ব্যক্তিরা যারা এই কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:প্যাংগং লেকের দুধার থেকে ভারত ও চিনের সেনা সরানো শেষ হওয়ার ইঙ্গিত
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আর্টেমিস প্রোগ্রামের দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন। রোভার পারসিভের্যান্স গত বছর ৩০ জুলাই আমেরিকার (America) কেপ ক্যানারিভাল স্পেস স্টেশন থেকে মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার দীর্ঘ সাড়ে ৬ মাস পরে লাল মাটির গ্রহে অবতরণ করছে। পাঠিয়েছে ছবি।
পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সময় মধ্যরাতের ঠিক পর থেকেই মঙ্গল গ্রহে পারসেভেরান্স (মঙ্গলযান)- এর নামার প্রস্তুতি শুরু হয় এবং ৭ মিনিট পরেই রাত ২ তো ২৫ নাগাদ মঙ্গলের মাটি ছোঁয় যানটি। এই মিশনে মোট ৩টি ল্যান্ডিং সাইট চিহ্নিত করা হয়েছে। জেজেরো ক্রেটার, এনই সারটিস এবং কলম্বিয়া হিলস। রোভার মিশনে উন্নত অ্যানালাইজারের মাধ্যমে নানা তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে। কী কী পাওয়া গেল তা জানা যাবে ২০২২ সালের মধ্যে। ফলে গোটা বিশ্বের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।