আশঙ্কাজনক হচ্ছে মহারাষ্ট্রের কোভিড- ছবি, সব ধরনের ভিড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি

ফের আতঙ্ক ! তাহলে কি ২০২০-এর পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে ২০২১ সালেও ?

গত বছর ঠিক এমন সময়েই দেশে প্রথম কোভিড-রোগীর হদিশ মিলেছিলো৷ এবারও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ( CM Maharashta) শেষপর্যন্ত স্বীকার করে নিলেন, “করোনার দ্বিতীয় স্রোত আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। বিষয়টি আগামী ৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে নিশ্চিত হবে।”

চিন্তা বাড়াচ্ছে সেই মহারাষ্ট্র-ই। গত কয়েকদিন যাবৎ প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২০২০-র করোনা-কালে দেশের মধ্যে বেশ সংকটজনক অবস্থায় ছিল এই রাজ্য। এ বছরও ধীরে ধীরে সেদিকেই বাঁক নিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার।

আরও পড়ুন-মঙ্গলবার সিবিআইকেই বাড়িতে ডাকলেন অভিষেকের স্ত্রী

মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু অঞ্চলে লকডাউন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। রাজ্যে ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে ভিড় ও অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Udhav Thakrey) আশঙ্কা বহুগুণ বাড়িয়ে বলেছেন, “যেখানে জানুয়ারিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০০০, তা এখন গিয়ে পৌঁছেছে ৭০০০-এ। মহারাষ্ট্রের ৪ জেলায় সংক্রমণের হার এই মুহুর্তে অনেক বেশি। কোভিড- ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী এই ৪ জেলা-সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় আরও কড়া লকডাউন দাবি করেছেন। বলেছেন, “প্রয়োজনে এই ৪ জেলা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায় লকডাউন ঘোষণা হতে পারে”৷ তিনি বলছেন, “দ্বিতীয় স্রোত আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। সত্যিই করোনার দ্বিতীয় স্রোত এসে গিয়েছে কি সেই বিষয়ে আগামী ৮ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

রবিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৬৯৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৪১৭জন।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেছেন, “এখনও রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫২,৯৫৬ জন। তাই রাজ্যে সোমবার থেকে সমস্ত ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক কারণে ভিড় ও অনুষ্ঠানের উপর সোমবার থেকে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। রাজ্যে রাজনৈতিক বিক্ষোভ দেখানোরও অনুমতি দেওয়া হবে না আগামী কয়েকদিন৷ ভিড় এড়ানোর জন্যই এই ঘোষণা”৷

Advt

ওদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “লকডাউনই এর একমাত্র সমাধান না হলেও, এই প্রক্রিয়ায় কোভিড-১৯ এর শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব৷
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলে করোনা সংক্রমণের এই শৃঙ্খল ভেঙ্গে যায়।

আরও পড়ুন-‘ঘরের ছেলে শুভেন্দুকে বাংলা চায়’-প্রচারে অস্বস্তিতে বিজেপি

ঠাকরে বলেছেন, “কোভিড ঠেকাতে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হলো মাস্ক”। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘণ করলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। লকডাউন সম্পর্কে তিনি বলছেন, যাঁরা লকডাউন চান না, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। হাত ধোবেন। সামাজিক দূরত্ব রাখবেন। আর যাঁরা আবার লকডাউন চায় তারা সব নিয়ম ভাঙবে। দেখা যাক কারা লকডাউন চায়। আর কারা চায় না।

 

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সোমবার সকাল ৮টা থেকে এই এলাকায় এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। এই এলাকায় শুধুমাত্র কিছু প্রয়োজনীয় পরিষেবা খোলা থাকবে। কোভিড প্রোটোকল না মেনে চললে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে। সিনেমা হল, জিম, সুইমিং পুল, পার্ক ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। অমরাবতীতে লকডাউন ছাড়াও আকোলা, ওয়াশিম, বুলধানায়ও একাধিক কড়া নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।

Previous articleমঙ্গলবার সিবিআইকেই বাড়িতে ডাকলেন অভিষেকের স্ত্রী
Next articleফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে তলব করল ইডি