ভোটের আগে একে অপরের বিরুদ্ধে ‘বোমা’ ফাটাচ্ছেন রুদ্রনীল-জটু লাহিড়ী

আর মাত্র কয়েকমাস তারপরই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগেই চলছে সব পক্ষের প্রচার। তারই মধ্যে হাওড়া শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। জনসভা ও কর্মসূচীতে একে অপরের বিরুদ্ধে বোমা ফাটাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জটু লাহিড়ী এবং গেরুয়া শিবিরের রুদ্রনীল ঘোষ। জটু লাহিড়ী বলেন, নিশ্চিতভাবে তিনি বিধায়ক হিসেবে ফিরে আসবেন।

রুদ্রনীল এদিন হাওড়ায় বিজেপির হয়ে প্রচারের এসে জটু লাহিড়ীকে বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল। এটা ভূগোলে আছে। কিন্তু হাওড়ায় সেই ভূগোল উল্টে গেছে। এখানে এক ভাগও জল নেই। সব বুজে গেছে। আর যেটুকু ফাঁকা স্থল আছে, সেটাও বুজে প্রমোটিং হয়ে গেছে কিছু বিধায়ক ও কাউন্সিলরের সৌজন্যে।” বিশেষ করে শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এই ঘটনা বেশি করে হয়েছে বলে রুদ্রনীলের অভিযোগ। এরপর বিধায়ক জটু লাহিড়ীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে তাঁর বক্ত্যব্য, “এই এলাকার রাম ঠাকুরের পুকুর চুরি করে নিয়েছেন জটু বাবু।”

আরও পড়ুন-সিবিআই আসার আগে আচমকা অভিষেক-রুজিরার বাড়িতে মমতা

রুদ্রনীলের অভিযোগ নিয়ে বলতে গিয়ে জটু লাহিড়ী দাবি করেন, তার কেন্দ্রে কোনও পুকুর ভরাট হয়নি। বরং বহু পুকুর ও জলাশয় রক্ষা করেছেন তিনি নিজে। এদিন রুদ্রনীলকে ‘জোচ্চোর’ বলেও কটাক্ষ করেন শিবপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, “হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের টাকা তছরূপ করেছে একসময় বামেদের সমর্থনে থাকা এই অভিনেতা।” এটুকুতেই থেমে জাননি জটু লাহিড়ী। তিনি আরও বলেন, “রাজ্য সরকারের থেকে তিন লক্ষ টাকা করে নিয়েছে রুদ্রনীল। সরকার মহানুভবতা দেখিয়েছে, কিন্তু সে কোনও কাজ করেনি।”

Advt

শিবপুর কেন্দ্রে রুদ্রনীল বিজেপিত প্রার্থী হলে তিনি কি হারাতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শিবপুরের বিধায়কবলেন, তাঁর নিজের প্রতি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস আছে। মানুষ তাঁকে ভালবাসে ও সমর্থন করে। তাই তিনি আবার জয়লাভ করবেন। তবে রুদ্রনীল এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে রুদ্রনীল বলেছেন ,”এখনও সময় আছে এমন কিছু করবেন না যে সরকার বদলের পর মানুষ আপনাদের ঘৃণার চোখে দেখে।”

Previous articleদ্রুত সলতে পাকাচ্ছে নির্বাচন কমিশন, আগেই আসছেন ভোট-কর্তারা, আরও আধাসেনাও
Next articleঅভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে গেল CBI টিম