সিপিএমের প্রার্থী তালিকায় JNU-এর ঐশী-দীপ্সিতা, কসবায় ফের তরুণ প্রজন্মের শতরূপ

বাংলায় বিধানসভা ভোটের (Assembly Election) নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এবার সকলের নজর রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী তালিকার (Candidate List) দিকে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেবে ডান-বাম সব পক্ষ। বঙ্গের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে প্রতিটি দলই প্রার্থী হিসেবে নতুন প্রজন্মের (New Generation) মুখকে গুরুত্ব দিতে চাইছে। আলিমুদ্দিনের খবর, সিপিএমও (CPIM) অগ্রাধিকার দিতে চলেছে তরুণ প্রজন্মকে। আপাতত ঠিক হয়েছে ৪০ শতাংশ প্রার্থীর বয়স হবে ৪০ বছরের কম। সেই অনুযায়ী প্রার্থী বাছাইও প্রায় সেরে রেখেছেন বিমান বসু (Biman Bose), সূর্যকান্ত মিশ্ররা (Suriyakanta Mishra)।

গতবারে সিপিএমের জয়ী প্রার্থীরা এখনও যাঁরা দলে রয়েছেন, তাঁদের নিজ নিজ কেন্দ্রে টিকিট নিশ্চিত। পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যেও অনেকে এবারও টিকিট পাবেন। যেমন, কসবা কেন্দ্রে গতবার তৃণমূলের মন্ত্রী জাভেদ খানের কাছে হেরেছিলেন সিপিএমের নতুন প্রজন্মের পরিচিত নেতা শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh), এবার ওই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।

কিন্তু চমক অন্য জায়গায়। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তনীকে এবার প্রার্থী করতে চলেছে সিপিএম। সূত্রের খবর, দুর্গাপুর আসনে লড়তে পারেন JNU ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ (Oishi Ghosh)। হাওড়ার কোনও কেন্দ্র থেকে কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নে লড়াই পারেন আরেক JNU প্রাক্তনী দীপ্সিতা ধর (Dipshita Dhar)। এই দুই ছাত্র নেত্রী খুব জনপ্রিয়।

JNU-তে এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের হামলার পরে দুর্গাপুরের ভুমিকন্যা ঐশীর নাম সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। বামপন্থী পরিবারের বড় হয়েছেন ঐশী। তাঁর বাবা দেবাশিস ঘোষ বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর সক্রিয় সদস্য। সম্প্রতি, বাম ছাত্র-যুব সংগঠনগুলোর নবান্ন অভিযানে মইদুল মিদ্দার মৃত্যুর প্রতিবাদে দিল্লিতে বঙ্গ ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন ঐশী।

JNU-এর প্রাক্তনী দীপ্সিতা ধরও সুবক্তা হিসেবে পরিচিত। বাংলায় বেশ কিছুদিন ধরেই বেশ বাম রাজনীতিতে সক্রিয় দীপ্সিতা ধর। বামেদের একাধিক মিটিং মিছিলে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে নব প্রজন্মের এই নেত্রীকে।

বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দীপ্সিতা। পুলিশি লাঠির মুখেও সহকর্মীকে আগলে রাখার ছবি দীপ্সিতাকে আলাদা পরিচয় দিয়েছে।

অন্যদিকে, DYFI রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির নামও প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে। ক্ষুরধার বক্তব্যের জন্য বাম ছাত্র-যুবদের খুব পছন্দের নেত্রী মীনাক্ষী। তিনিও নবান্ন অভিযানে সামনে থেকে বুক চিতিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

২০১১ সালে রাজ্য থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বামেদের পুরোনো ও রক্ষণাত্মক ভাবধারা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাকা চুলের নেতারা তারপরও নিজেদের জায়গা ছাড়েননি। ফলে নতুন প্রজন্ম ক্রমাগত মুখ ফিরিয়েছে সিপিএম থেকে। ভোট শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ। দলের অন্দরেও যা নিয়ে জোর সমালোচনা হয়েছে। অতঃপর একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে এবার তরুণ প্রজন্মকে অগ্রাধিকার দিতে চলেছে আলিমুদ্দিন। ক্ষমতায় ফেরা হোক বা না হোক, অন্তত নিজেদের ভোটের কিছুটা যদি উদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টাতেই এখন বুক বাঁধছে সিপিএম।

আরও পড়ুন- বাইডেনের মন বুঝেই ভারতের প্রতি সুর নরম চিন-পাকিস্তানের

Advt

Previous articleমেচেদার মন্দিরে কীর্তন-আরতি শুভেন্দুর
Next articleএএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগই পাখির চোখ বাগান ব্রিগেডের