বাইডেনের মন বুঝেই ভারতের প্রতি সুর নরম চিন-পাকিস্তানের

সম্প্রতি ভারত-চিন(India-China) সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের সম্মত হয়েছে চিন। চিনের পথে হেটে সংঘাতের রাস্তা এড়িয়ে পাকিস্তান কথা দিয়েছে আর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করবে না তারা। চিরশত্রু তালিকায় থাকা এই দুই দেশ হঠাৎ এভাবে নরম হওয়ার পিছনে বাইডেনের(Joe Biden) ছায়া দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। অনুমান করা হচ্ছে সীমান্ত নিয়ে বাইডেন কী মতামত দেন সেই বুঝে জল মেপে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে চিন ও পাকিস্তান(Pakistan)।

ট্রাম্প শাসনের অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি আমেরিকার মসনদে বসেছেন জো বাইডেন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল, বাইডেন শাসনে এবার হয়তো চিনের সঙ্গে সমঝোতায় আসবে আমেরিকা। তবে সে জল্পনায় জল ঢেলে বেজিংয়ের(Beijing) উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে অভিজ্ঞ চিন সরাসরি সংঘাতের পথে না হেঁটে বাইডেনের সঙ্গে বসতে চায় আলোচনায়। ভারতের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখাও এই পদক্ষেপের অন্যতম অংশ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এর অন্যতম কারণ হোয়াইট হাউস থেকে বেজিংয়ের ফোন যাওয়ার বেশ কিছুদিন আগে ফোনটা এসেছিল দিল্লির লোক কল্যাণ মার্গের ৭ নম্বর ভবনে। একই ছকে হেঁটে শান্তির বার্তা নিয়ে ভারতের সামনে ধরা দিয়েছে পাকিস্তান। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর পরিস্থিতি যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুই দেশের তা এখন কিছুটা হলেও শান্ত। সম্প্রতি সীমান্তে শান্তি স্থাপনে ২০০৩ সালে ভারত পাক শান্তি চুক্তি ফের পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এটা বেশ স্পষ্ট যে আমেরিকার দিকে তাকিয়ে আপাতত জল মাপতে শুরু করেছে দুই দেশ।

আরও পড়ুন:ভোটের দিন ঘোষণা হতেই অপসারিত এডিজি-আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম

সম্প্রতি চিন আমেরিকা সম্পর্ক নিয়ে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংঘাতের বদলে আপষের সুর শোনা যায় চিনা বিদেশমন্ত্রীর গলায়। তিনি জানান চিনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক দল ও বাণিজ্যিক সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য। পাশাপাশি হংকং, শিনজিয়াং ও তিব্বতের মতো ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার কথা বলেন আমেরিকাকে। কূটনৈতিক তর্কের বাইরে বেরিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসারও বার্তা দেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। এমত অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের দাবি আমেরিকার সঙ্গে চিনের শুল্ক যুদ্ধের ফল যে মোটেই ভালো হবে না তা বেশ বুঝেছে বেজিং। পাশাপাশি, ভারত-সহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন মিত্রদেশের জোটও চিনাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এমত অবস্থায় আমেরিকার সুরেই ভারতের প্রতি মিষ্টি ভাব আনতে চাইছে প্রতিবেশী দুই দেশ।

Advt

Previous articleঘরে বসেই মঙ্গলভ্রমণ, লালগ্রহের ছবি পাঠাল পার্সি
Next articleবিজয় হাজারে ট্রফিতে জয়ে ফিরল বাংলা