হাওয়ায় উড়ছে মাঠি, চারিদিকে ধূ ধূ প্রান্তর, লালগ্রহের শুকিয়ে যাওয়া নদীর ব-দ্বীপের ছবি তুলে পাঠাল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র রোবট-যান ‘পারসিভের্যান্স’। মঙ্গলের পারিপার্শ্বিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে মঙ্গলযান যে ছবিগুলি ‘নাসা’য় পাঠাচ্ছে তা জুম করে দেখা যায়। নাসার তরফে যে দৃশ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বহু দূরে অবস্থিত পর্বতও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
শুধু শুকিয়ে যাওয়া নদীর ব-দ্বীপই নয়, এবড়ো খেবড়ো পাথুরে জমি, আকাশ এ সবই ধরা পড়েছে পার্সির ক্যামেরায়। নাসার প্রকাশিত ‘পারসিভের্যান্স’-এর ছবির দৌলতে ঘরে বসেই সেরে ফেলা যাচ্ছে লালগ্রহ-দর্শন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লালগ্রহের মাটিতে পা রাখে ‘পারসিভের্যান্স’। অবতরণের সময়ই পাথুরে মঙ্গলপৃষ্ঠের একটি ছবি পাঠিয়েছিল সেটি।
২১ ফেব্রুয়ারি হাই রেজলিউশন ক্যামেরার মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে শতাধিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে পার্সি। তার মধ্যে থেকে ১৪২টি ছবি জুড়ে রোবট-যানের আশেপাশের একটি পরিদৃশ্য তৈরি করেছে নাসা, যার মাধ্যমে আরও ভাল করে মঙ্গলের দৃশ্যপটের সঙ্গে পরিচিতি ঘটছে সাধারণ মানুষের। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে কোন নুড়ি এবং পাথর পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে আনা হবে, তা ওই ক্যামেরার মাধ্যমেই ঠিক হবে।