‘ইতিহাস যদি ফিরে আসে! এ ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়’:হ্যারি

রাজপরিবারের ছায়া থেকে বেড়িয়ে এসে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন হ্যারি ও মেগান। বর্তমানে তাঁদের ঠিকানা ক্যালিফর্নিয়া। সেখানে রাজবাড়ির মত বিলাসবহুল সুবিধা নেই। তবে শান্তি আছে। রাজপরিবারে মায়ের মতো একই পরিণতির আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াত হ্যারিকে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা ছিল তাঁর জীবনের বড় বিভীষিকা। তাই কঠিন হলেও রাজপরিবারের ছত্রছায়া থেকে বেড়িয়ে সুখে আছেন হ্যারি ও মেগান। ওপরা উইনফ্রের শোয়ে রাজবাড়ির ভিতর ও বাইরে তাঁদের জীবনের গল্প শোনালেন রাজকুমার হ্যারি।

ডায়ানা প্রসঙ্গে হ্যারি জানান, তাঁর মা ১৯৯৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদের সময়ে রাজ-উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। সেই সময় রাজ-উপাধি ছাড়ার প্রক্রিয়া কতটা কঠিন ছিল তা এখন উপলব্ধি করতে পারেন তিনি। একই অভিজ্ঞতা তাঁর ও মেগানের। হ্যারির কথায়, ‘‘এ যে কী অবিশ্বাস রকমের কঠিন, তা আমরা দু’জন টের পেয়েছি।’’ তিনি এ-ও বলেছেন, ‘‘ইতিহাস যদি ফিরে আসে! এ ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়। এই যে স্ত্রীকে পাশে নিয়ে বসে কথা বলছি, আমি এতেই খুশি, নিশ্চিন্ত।’’

ক্যালিফর্নিয়ায় তাঁদের বাড়ির কাছেই থাকেন ওপরা। গোটা সাক্ষাৎকারে অকপটে মেগান জানালেন, দ্বিতীয় বার সন্তানসম্ভবা, রাজকুমারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে, মাতৃত্ব, রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে মেপে চলা জীবন ও তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য নিজের যুদ্ধ নিয়ে। জানান, কী ভাবে ‘অসম্ভব প্রত্যাশার চাপ’-এর সঙ্গে যুঝতে হয়েছে তাঁকে। মেগানের সুরেই সুর মেলান হ্যারিও। আমেরিকায় আসার সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও ওপরার সঙ্গে কথা বলেন এই দম্পতি। আগামী ৮ মার্চ আমেরিকায় সম্প্রচার হওয়ার এক দিন বাদে ব্রিটেনের টিভিতে দেখা যাবে সম্পূর্ণ শোটি।

Advt
Previous articleপাখির চোখ বাংলা, ২০টি জনসভা করবেন মোদি, শাহ আর নাড্ডা ৫০ টি করে
Next articleনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার জেরে কোপ স্বাস্থ্যসাথী-চোখের আলোতে