সরকারের বক্তব্যের বিরোধিতার অর্থ দেশদ্রোহ নয়, বলল সুপ্রিম কোর্ট

বিজেপি জমানায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে যত্রতত্র দেশদ্রোহের ধারা লাগিয়ে মামলা করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অপছন্দের ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে যে কোনও ছুতোনাতায় দেশদ্রোহের মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে কোনও মতপ্রকাশ করলেই যে তা ‘দেশদ্রোহ’ (sedition) হয় না তা স্পষ্ট করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এমনকী ভিত্তিহীন দেশদ্রোহের অভিযোগ তোলায় খোদ মামলাকারীকেই জরিমানা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)।

আরও পড়ুন:রহস্যমৃত্যু আলিপুরের শিল্পপতির মেয়ে রসিকা জৈনের, উঠছে একাধিক প্রশ্ন

সরকারি মতের বিরোধিতা করলেই দেশদ্রোহিতা হয় না বলে বুধবার মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এবং এই সূত্রে খারিজ করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা। শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল এবং হেমন্ত গুপ্তা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সরকারি মতের বিরুদ্ধাচরণ করলেই সেটা দেশদ্রোহিতা নয়।‘ প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর অগাস্টে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে কেন্দ্র। সেই পদক্ষেপের বিরধিতা করে সরব হয়েছিলেন কাশ্মীরের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ফারুক আবুদল্লা। তাঁর বক্তব্য ‘দেশদ্রোহিতা’র সমান বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে এদিন এই পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ আদালতের। ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া দেশদ্রোহের মামলা করতে চাওয়ায় খোদ মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advt

Previous articleরহস্যমৃত্যু আলিপুরের শিল্পপতির মেয়ে রসিকা জৈনের, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
Next articleমোদির সফর প্রস্তুতি : ঝটিকা সফরে ঢাকায় যাচ্ছেন জয়শঙ্কর