‘ওঁ হেলে-ঢোরা, জাত গোখরো হলে মোদির পায়ে মাথা ঠেকাত না’ : মিঠুন প্রসঙ্গে মদন, ছেড়ে কথা বললেন না ফিরহাদ-সৌগতও

বাম-তৃণমূল কংগ্রেস ঘুরে এখন বিজেপিতে সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। রবিবাসরীয় সকালে উত্তর কলকাতার বাড়ি থেকে ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মিঠুন। ব্রিগেডে পৌঁছে বিজেপিতে যোগ দেন ‘মহাগুরু’। আর মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে একেবারে চেনা ছন্দে পাওয়া গেল তাঁকে। তাঁর জনপ্রিয় দুটি ছবির ডায়লগ “মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে” আর “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো; এক ছোবলে ছবি”। এই দুটি ডায়লগে ব্রিগেড মাতালেন মিঠুন।

এরপর তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। মিঠুন চক্রবর্তী বলে আমি যে মানুষটাকে চিনতাম, চাপের কাছে নত হওয়ার মতো মেরুদণ্ড ছিল না তাঁর। কিন্তু দেখা গেল মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে, যে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়ানোর চেষ্টা হয়।” এরপর তৃণমূলের কামারহাটির প্রার্থী মদন মিত্র আরও বলেন, “মিঠুন যে বললেন, আমি হেলেও নই, ঢোরাও নই, আমি গোখরো, সত্যিই ওঁ যদি গোখরো হতেন, তাহলে মোদির পায়ে গিয়ে জমা হতেন না ডায়লগে গোখরো বলা যায়। জীবন যখন হেলে, ঢোড়া হয়ে যায়, তখন বাইরে ডায়লগটা থাকে গোখরোর মতো, কিন্তু ওটা আসলে হেলে ঢোরা হয়ে যায়।”

আরও পড়ুন-সমস্যার সমাধান না করতে পারলে বারাকপুরেই ঢুকবেন না, বলে দিলেন রাজ, প্রচারে জুনও

এদিন ‘মহাগুরু’কে বিশ্বাসঘাতক তকমা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সৌগত রায় এদিন বলেন, “উনি একাধিকবার শিবির বদলেছেন। সাধারণ মানুষের জন্য ওঁর কোনও ত্যাগ নেই। মিঠুনকে ভরসা করা যায় না। বিশ্বাসঘাতকরা ওঁর অভ্যেস।” মিঠুন চক্রবর্তী প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “উনি নকশাল ছিলেন, মিঠুনদাকে একটা সময়ে সুভাষবাবুরও সঙ্গে দেখেছি। পরে তৃণমূলে এসেছিলেন। ওঁর অনেক রূপ। আরও অনেক রূপ দেখব।”

Advt

Previous articleনদিয়ার হরিণঘাটায় গুলিবিদ্ধ বিজেপির বুথ সভাপতি 
Next articleতৃণমূল নেত্রীর জন্য নন্দীগ্রামে তৈরি অস্থায়ী হেলিপ্যাড!