ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় হারানিধি পেলেন দরিদ্র শ্রমিক, উদ্যোক্তা ওসি সৌভিক

ফের কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় হারানিধি হাতে পেলেন দরিদ্র শ্রমিক। এবারও সংবাদ শিরোনামে তিলজালা (Tiljala) ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী (Souvik Chakraborty)। সঙ্গে উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের এএসআই (Asi) এস ইউএনজোন ।

ব্রিগেডে মোদির সভার কারণে রাজপথে কড়া নজর ছিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police)। বাইপাসে সায়েন্সসিটি সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন সৌভিক চক্রবর্তী। বেলা ১১টা নাগাদ একজন পথচারীকে উদভ্রান্তের মতো কাঁদতে দেখেন তিনি। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন তাঁর নাম বাবলু বর্মন (Bablu Barman)। বাড়ি বারুইপুরে। পেশায় কাঠের মিস্ত্রি বাবলু বেতনের টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। রবি থেকে সায়েন্সসিটি-এর মধ্যে রাস্তায় কোথাও তাঁর ব্যাগটি হারিয়ে যায়। সেই ব্যাগে পুরো মাসের বেতন ছড়াও ছিল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি।

সব শোনার পরে রুবি ও পরমা আইল্যান্ডের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগের বিবরণ দিয়ে সব কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে সতর্ক করে দেন সৌভিক। নিজেও বেরিয়ে পড়েন টহল দিতে।

আরও পড়ুন- শিলিগুড়িতে মমতার মিছিলে জনস্রোত, বিনামূল্যে এলপিজি-র দাবি তৃণমূল নেত্রীর

পঞ্চান্নগ্রামের এএসআই খবর দেন একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি। ব্যাগ খুলে বিবরণ মত সব জিনিস মেলে। ডেকে পাঠানো হয় বাবলু বর্মনকে। পার্স এবং অন্যান্য জিনিসপত্র যথাযথ যাচাইয়ের পরে ফেরত দেওয়া হয় তাঁকে। এতক্ষণ যে কান্না ছিল সব কিছু হারানোর, এবার সব ফিরে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন ওই দরিদ্র মানুষটি। কৃতজ্ঞতা জানান পুলিশকে। ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’কে সৌভিক চক্রবর্তী জানান, “মানুষের পাশে থাকার আনন্দ সবসময় আছে। তবে যখন প্রান্তিক মানুষকে সাহায্য করা যায়, বিপদে তাঁর পাশে দাঁড়ানো যায় তখন একটা অন্যরকম তৃপ্তি মেলে”। কলকাতা পুলিশের এই ধরনের ভূমিকাই সাধারণ মানুষকে নিশ্চিন্ত করে।

আরও পড়ুন- ‘আপনি আমায় স্বার্থপর বলতেই পারেন…’ বিজেপি যোগের কারণ ব্যাখ্যা মিঠুনের

Advt

 

Previous articleআইসিসির টেস্ট র‍্যাঙ্কিয়ে শীর্ষে উঠে এল ভারত
Next articleসোনার বাংলা’ গড়তে ‘বিষাক্ত সাপ’-এর ভূমিকায় মিঠুন? কণাদ দাশগুপ্তর কলম