প্রার্থী করলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ হবে না তো! শিলিগুড়িতে শঙ্করের গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ে কি চায়ে পে চর্চা? কিশোর সাহার কলম

কিশোর সাহা

অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে লড়াইয়ে নামালে সদ্য সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা শঙ্কর ঘোষ কেমন সাড়া পাবেন তা নিযে হাতে-কলমে যেন পরীক্ষায় নামল দল। মঙ্গলবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির কয়েকটি ওয়ার্ডে শঙ্করবাবুকে নিয়ে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে জনসংযোগের চেষ্টা করেছেন বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল ও তাঁর সতীর্থরা। তাতে কতটা সাড়া মিলেছে সেই রিপোর্ট যাবে বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। সব ঠিক থাকলে শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনে পদ্মফুল চিহ্নেই লড়তে দেখা যাবে শঙ্করবাবুকে।

শঙ্করবাবু সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এক সপ্তাহ হয়নি। তাঁকে শিলিগুড়ির প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হলে বিজেপির অন্দরে তো বটেই, গোটা শহরেই একটা প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। সেটা বিজেপির জেলা ও প্রদেশ নেতারাও নানা এলাকায় প্রার্থী পদ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থেকে বুঝতে পারছেন। তাই আগাম জনমত যাচাইয়ের একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিজেপির মধ্যে।

আরও পড়ুন-প্রচারে টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল, লিখলেন দেওয়াল

বিজেপি সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে শঙ্করবাবুকে নিয়ে শহরের নানা এলাকায় জেলার প্রথম সারির নেতা ঘুরছেন। শঙ্করবাবুকে সামনে দেখে দলের নেতা ও এলাকার লোকজনদের প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করছেন। এমনকী, শঙ্করবাবু প্রার্থী হলে জেতার সম্ভাবনা শিলিগুড়ি আসনে বেড়ে যাবে বলেও হালকা করে কথা ভাসিয়ে দিচ্ছেন। কেউ সদর্থক সাড়া দিচিছেন। কেউ আবার উড়ে এসে জুড়ে বসাকে শিলিগুড়ির বিজেপির সব স্তরের লোকজন মেনে নেবেন না বলে মত দিচ্ছেন। আমজনতার তরফ থেকে বেশির বাগই নীরব থাকছেন। যা কি না ভাবাচ্ছে বিজেপির স্থানীয় নেতাদের।

ঘটনাচক্রে, শিলিগুড়িতে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে প্রবীণ আগরওয়াল, সবিতা আগরওয়ালের নাম রয়েছে। তা ছাড়াও একাধিক যুব নেতার নামও বিবেচনায় রয়েছে। কিন্তু, গোটা শহর যাঁকে চেনে ও অশোকবাবুর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবেন এমন কাউকে বিজেপি খুঁজছে। উপরন্তু, স্থানীয় প্রার্থী দিতেই আগ্রহী বিজেপি। কারণ, অতীতে তৃণমূল যতবার বহিরাগত মানে শিলিগুড়ির বাইরের বাসিন্দাকে প্রার্তী করেছে তাঁরা হেরেছেন। এবারও তৃণমূল প্রার্থী করেছে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে। যাদবপুরের বাসিন্দা ওমপ্রকাশবাবুকে প্রার্থী করায় তৃণমূল নেতা নান্টু পাল, দীপক শীল, জৌৎস্না আগরওয়ালরা দল ছেড়েছেন। আরও অনেকে বসে গিয়েছেন। তাতেই অতি মাত্রায় সতর্ক হয়ে শঙ্করকে প্রার্থী করা হলে কী হতে পারে তা যাচাইয়ে নেমেছে বিজেপি।

বিজেপির এক নেতার দাবি, শিলিগুড়িতে শঙ্করবাবুকে অশোকবাবুর বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত।

Advt

 

Previous articleপ্রচারে টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাবুল, লিখলেন দেওয়াল
Next articleমালদহে কংগ্রেসে ভাঙন, শতাধিক কর্মীর যোগদান তৃণমূলে