নন্দীগ্রামে মমতার পক্ষে প্রচার মিমের পদত্যাগী রাজ্য সভাপতি জামিরুল হাসানের

একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের (Assembly Election) আগে আরও সুবিধাজনক জায়গায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে আরশাদ উদ্দিন ওয়েসির (Arshad uddin Oyesi) মিম (AIMIM)। দল ছেড়েছেন রাজ্যে সংগঠনের আহ্বায়ক তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি জামিরুল হাসান (Zameerul Hassan)। বিজেপির (BJP) সঙ্গে মিমের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলেই দল দল ছেড়েছেন জামিরুল সাবেব। এবং এই সংখ্যালঘু নেতার দাবি, তাঁর পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে বাংলায় মিমের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়েছে।

বাংলায় ভোটে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করেছিল মিম। ফুরফুরা শরিফে এসে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। জানিয়ে দেন, ভাইজানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এরপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। আব্বাস সিদ্দিকি যোগ দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটে। এই পরিস্থিতিতে মিম ছাড়ছেন রাজ্যে তাদের আহ্বায়ক জামিরুল হাসান (Zameerul Hassan)। যোগ দিয়েছেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগে। তবে নির্বাচনে লড়াই করছে না তারা। বরং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিগ। এবং সেই মোতাবেক নন্দীগ্রামেও সদলবলে গিয়ে প্রচার করেছেন জামিরুল হাসান (Zameerul Hassan)।

তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “এ রাজ্যে আমরা অবিজেপি দলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে সমর্থন করছি। নন্দীগ্রামে গিয়ে দলিত, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের কাছে মমতাকে ভোট দেওয়ার প্রচারও করছি। তৃণমূলের সঙ্গে নয়, নিজেরাই প্রচার করছি।”

আরও পড়ুন- ফুল বদল করেও যাদের শিকে ছিঁড়ল না, তারা এবার কী করবেন?

Advt

Previous articleফুল বদল করেও যাদের শিকে ছিঁড়ল না, তারা এবার কী করবেন?
Next article“বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”, দিদির সবুজ সাথী সাইকেলে চেপে মনোনয়ন লাভলির