ফেসবুক খুঁজে দলীয় প্রার্থীকে চিনতে হলো বিজেপি জেলা সভাপতির! কোথায় জানেন?

একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) যখন তৃণমূ-সহ বাকি বিরোধীরা জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে, তখন বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকা বিজেপি (BJP) প্রার্থী (Candidate) পদ ও দলীয় বিদ্রোহ নিয়ে নাজেহাল। তারকা, দলবদলু থেকে শুরু করে সাংসদ, এমনকি মুকুল রায়ের মতো সাংগঠনিক নেতাকে পর্যন্ত লড়াইয়ে ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাতেও অস্বস্তি কমছে না। আবার সোমেন জায়া শিখা মিত্র কিংবা মালা সাহার স্বামী তরুণ ঘোষরা বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নিজেদের নাম দেখে রীতিমতো বিস্মিত। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন না তাঁরা।

এদিকে দিল্লি থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, অবরোধ, অনশন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটছে। বেশকিছু জায়গায় প্রার্থী কে, সেই পরিচয় হাতড়ে বেড়াচ্ছেন দলের জেলা সভাপতি। বৃহস্পতিবার বিজেপি’র চতুর্থ দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর এমনই ছবি দেখা গেল সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর নিজের গড় উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur)।

বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ এবং কালিয়াগঞ্জ— এই ৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। প্রাথমিক ভাবে কালিয়াগঞ্জের প্রার্থীকে চিনতেই পারলেন না বিজেপি’র উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি। বিজেপি কালিয়াগঞ্জের প্রার্থী করেছে সৌমেন রায়কে। বিশ্বজিতের দাবি, ‘‘কালিয়াগঞ্জের প্রার্থীর ছবি ফেসবুকে দেখলাম। আমি ওঁকে চিনি না। হয়তো আমাদের এলাকার বাসিন্দা নয়। হয়তো হেভিওয়েট কোনও প্রার্থী হবেন। তাই ঘোষণা করা হয়েছে।’’ জেলা সভাপতি হয়ে দলীয় প্রার্থীকে চিনতে পারছেন না! একরাশ বিস্ময়ের মুখে বিশ্বজিতের জবাব, ‘‘প্রার্থী নিয়ে অনেক সমীক্ষা হয়। সেইভাবে হয়তো তাঁর নাম গিয়েছে, কী ভাবে হয়েছে, সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বা রাজ্য নেতৃত্ব জানেন। সাংসদ বলতে পারবেন।”

 

Previous articleভোটের মাঝেই তাণ্ডব!
Next articleপ্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ, বিজেপির সব পদ থেকে ইস্তফা সৌরভের