World Sleep Day 2021 : যারা ঘুম ‘অপছন্দ’ করেন তাঁরা দেখুন নিজেদের জন্য কী বিপদ ডেকে আনছেন

আজ বিশ্ব ঘুম দিবস। অনেকেরই ঘুম খুব প্রিয়, তাঁরা ছুটি পেলেই ১৪-২০ ঘণ্টা ঘুমান। আবার এমনও অনেক মানুষ রয়েছেন যারা নিজেরাই বলেন, “দিনে ২-৩ ঘণ্টা ঘুমলেই হয়ে যায়।” যারা ঘুম অপছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মানুষগুলোই ভুল ধারণার মধ্যে রয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় অর্থাৎ কেউ যদি দিনের পর দিন অনিদ্রায় ভুগতে থাকে, তাহলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেবে। প্রথমে আমরা জেনে নেব দিনে কত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। অনেকেই দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা অন্য কথা বলছেন। তাঁরা বলেছেন, বয়স, শারীরিক অবস্থা, কাজকর্ম, ওজন-সহ একাধিক বিষয়ের উপরে নির্ভর করে ঘুমোনোর সময় পরিবর্তিত হয়। এই বিষয়ে একটি সময়সূচি দিয়েছে Sleep Foundation। স্লিপ ফাউন্ডেশন একটি charitable organisation। তারা জানাচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের সময় ৭-৯ ঘণ্টা। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদের ঘুমের সময় ৭-৮ ঘণ্টা। তরুণ-তরুণীদের জন্য ঘুমের প্রয়োজন ৯-১১ ঘণ্টা। সাত বছরের যাদের বয়স তাদের ঘুমের দরকার ১০-১৩ ঘণ্টা। এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুমের সময় প্রায় ১৭ ঘণ্টা।

আরও পড়ুন-এখনই স্যোশাল মিডিয়ায় নজরদারির জন্য নিয়ন্ত্রক নয়, জানাল কেন্দ্র

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের অভাবে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়তে পারে। স্নায়ুরোগের শিকার হতে পারেন। এছড়াও প্রবণতা বাড়তে পারে হৃদরোগের। দিনের পর দিন নিদ্রাহীনতায় মানসিক উদ্বেগ এমনকি অবসাদ পর্যন্ত হতে পারে। এর জেরে ত্বকের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ত্বকে নানা ধরনের ডার্ক সার্কেল, ত্বক কুঁচকে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা দেখা যায়। তাই এই বিশ্ব ঘুম দিবসে আবারও ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’এর পাঠকদের মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিয়ম মতো পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, শরীর ও মস্তিষ্ক দু’টিকেই সতেজ রাখতে ভীষণভাবে দরকার পর্যাপ্ত ঘুমের। এর কোনও বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক শান্তি ও সুস্থতা বজায় রাখে। এর পাশাপাশি শারীরিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। যথাযথ ঘুম না হলে অস্বস্তি, বিরক্তিভাব এমনকি ঘন ঘন রাগ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। নাক ডাকা বা দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুমোনোর অভ্যাসও একদমই স্বাস্থ্যকর নয়।

সম্প্রতি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সমীক্ষাটি। ঘুমের সঙ্গে হার্ট ফেলিওরের এই সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে প্রায় ব্রিটেনের বায়ো ব্যাঙ্কের ৪,০৮,৮০২ জনের উপরে সমীক্ষা চলে। এঁদের বয়সসীমা ৩৭-৭৩ বছর। এর পাশাপাশি হার্ট ফেলিওরের ঘটনাগুলিকেও খতিয়ে দেখা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রায় ১০ বছর সময়কালের মধ্যে ৫,২২১ হার্ট ফেলিওরের কেস নজরে আসে।

Advt

Previous articleকালনায় প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে পছন্দ নয়, তৃণমূলের হয়ে প্রচার শুরু বিজেপি কর্মীদের
Next articleকয়লাকান্ডে রাজু ঝাকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি, চরম অস্বস্তিতে বিজেপি