ভোটের বাংলায় করোনা-আতঙ্ক বাড়ছে, সতর্কতামূলক নির্দেশিকা নবান্নের

অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন৷

দেশজুড়ে ফের করোনা-আতঙ্ক মাথাচাড়া দিয়েছে৷ বাদ নেই বাংলাও
ক্রমশই ভয়াল হয়ে উঠছে
করোনাভাইরাস৷ দেশের একাধিক রাজ্য ফের বিধ্বস্ত হতে চলেছে৷
উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাতেও৷ ভোটের রাজ্যে তোয়াক্কাও করা হচ্ছেনা করোনা- প্রোটোকলকে৷ ওদিকে নীরবে থাবা বসাচ্ছে করোনা এবং নতুন স্ট্রেন৷ রাজ্যে যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কার্যকর করা না গেলে শেষের দিকের কয়েক দফার নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলেই চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা৷ একাধিক রাজ্যের বেশ কিছু শহরে চলছে নাইট কার্ফু। সংক্ষিপ্ত লকডাউনও চলছে বেশ কয়েকটি শহরে৷ বাংলা তথা কলকাতায় সংক্রমণের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন৷ করোনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন করে বেশ কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (assembly election) দু’দিন বাদেই। সব ক’টি দলের ভোটপ্রচারে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে করোনা-বিধিকে৷ বড় বড় সমাবেশে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না সতর্কতা-বিধি৷
এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলার জেলাশাসক, এসপি এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেন। এই বৈঠকেই করোনা-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্দেশে বলা হয়েছে,

◾নির্বাচন-প্রক্রিয়া কোভিড-প্রোটোকল মেনেই করতে হবে৷

◾রাজ্যজুড়ে প্রকাশ্যস্থানে শারীরিক দূরত্ব (physical distance) এবং মাস্ক (mask) বাধ্যতামূলক করতে হবে।

◾বিবাহ-সহ সব ধরনের সামাজিক উৎসবে করোনা-বিধি মানা হচ্ছে কিনা, নজর রাখতে হবে।

◾গণ-পরিবহণে কোভিড প্রোটোকল (covid protocol) মানতে হবে৷

◾রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন এবং মিছিল, জনসভায় জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

◾টিকাকরণের কাজ দ্রুত করতে হবে।

◾৬০ ও ৪৫ বছর (কো-মরবিডিটি) বয়সীদের শারীরিক দিকে
নজর রাখতে হবে।

◾করোনা টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।

◾যে সমস্ত এলাকায় সংক্রমণ ধরা পড়ছে সেখানে প্রতিনিয়ত ‘নজরদারি চালাতে হবে৷

◾হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিকাঠামো ঠিক আছে কি’না, তা ‘রিভিউ’ করতে হবে।

◾হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।

◾প্রতিটি জেলায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সচল রাখতে হবে।

◾চালু রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন।

◾প্রয়োজনে যেন ডাক্তার, নার্স, সিসিইউ স্টাফ পাওয়া যায়, এমন ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে।

Previous articleহঠাৎ ভোলবদল: প্রবীর বাড়ি যেতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরলেন কৃষ্ণা!
Next articleবাকি দুই আসনে প্রার্থীর নাম জানালো কংগ্রেস