‘ধৃতরাষ্ট্র’ শিশিরদা তৈরি থাকুন, গল্পের শেষটা কিন্তু এক: কুণাল

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) হয়ে নন্দীগ্রামে (Nandigram) প্রচারে গিয়ে কাঁথির অধিকারী পরিবার তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি (Bjp) প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে (Shubhendu Adhikari) তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল (Tmc) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সোমবার, নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর, কালীচরণপুর-সহ একাধিক জায়গায় সভা করেন কুণাল। সেখান থেকে তিনি বলেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে সব সুবিধা নিয়ে, তাঁর বিশ্বাসের অমর্যাদা করে, এজেন্সির ভয়ে ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছে- সেই ‘গদ্দার’দের নন্দীগ্রাম কখনও ক্ষমা করবে না। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, শিশির অধিকারী বয়োজ্যেষ্ঠ। সুতরাং তাঁকে কোনও কটূক্তি করতে তাঁর রুচিতে বাধে। কিন্তু কুণাল মনে করিয়ে দেন, মহাভারতের পুত্র-স্নেহের অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র রাজধর্ম পালন না করায় শেষে কী পরিণতি হয়েছিল। কুণাল বলেন, “শিশিরদা তৈরি থাকুন গল্পের শেষটা কিন্তু এক”।

পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে তীব্র গরম। অথচ সেসব উপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তৃণমূলের সভার জন্য অপেক্ষা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন তৃণমূল মুখপাত্রের সভাগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। উল্লেখযোগ্যভাবে ছিল স্থানীয় মহিলাদের উপস্থিতি। তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে সভায় হাজির ছিলেন। যখনই মঞ্চ থেকে থেকে দলবদলুদের কথা উঠেছে, তখনই জনগণের তরফ থেকে আওয়াজ উঠেছে, ‘মীরজাফর’, “গদ্দার’। “খেলা হবে” থেকে শুরু করে “বাংলা নিজের মেয়েকে চায়” স্লোগানে স্লোগানে ভরা ছিল নন্দীগ্রামে কুণাল ঘোষের প্রচার সভাগুলি।

কলকাতার (Kolkata) নেতাদের হাতের কাছে পেয়ে, এদিন বেশ কিছু অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের প্রথম অভিযোগ ছিল, নন্দীগ্রাম থানার ওসির পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পালন করছেন। দ্বিতীয় অভিযোগ, কোনও এক রাজনৈতিক দলের নেতা ভোট কিনতে এলাকায় প্রচুর টাকা ছড়াচ্ছেন।

তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় এবং যুবনেতা সুদীপ রাহাও এদিন নন্দীগ্রাম জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন। নন্দীগ্রামে এলাকাভিত্তিক সভায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান নজরে পড়ে।

Advt

Previous article২৮ দিন নয়, কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ হোক ৬-৮ সপ্তাহ পর: নির্দেশ কেন্দ্রের
Next articleসিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ফের হাইকোর্টে ফেরার বিনয় মিশ্র