বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ‘গার্ড অব ওনার’ দিয়ে প্রশ্নের মুখে উত্তরাখণ্ড পুলিশ

বিজেপি(BJP) রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর প্রথমবার উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর পৌঁছেছিলেন মদন কৌশিক(Madan Kaushik)। সেখানেই উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সভাপতিকে ‘গার্ড অব অনার’ দিল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলের সভাপতিকে ‘গার্ড অফ অনার(guard of honour)’ দিতে পারে না প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বাগেশ্বর জেলার পুলিশ সুপার অমিত শ্রীবাস্তব(Amit Srivastava)।

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ সুপার অমিত শ্রীবাস্তব জানান, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতির নিরাপত্তার জন্য হেলিপ্যাডে পুলিশকর্মীদের পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ লাইনের যিনি আইয়ার বর্তমানে তিনি ছুটিতে হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি এই কাজটি করেছেন। গোটা ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর জেলার পুলিশ সুপার। এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো বিতর্ক শুরু হতেই বিজেপির মুখপাত্র সুরেশ জোশি বলেন, ‘মদন কৌশিক বহু বছর ধরে মন্ত্রী ছিলেন। পুলিশ হয়তো সেইজন্যই ভুল করে গার্ড অফ অনার দিয়েছে। এতে রাজনীতির কিছু নেই ভুল যে কারও দ্বারাই হয়।’

আরও পড়ুন:তিনদিনের মধ্যেই সঙ্ঘবদ্ধ বিজেপি নির্বাচনে নামবে, দাবি শমীকের

অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে ‘উত্তরাখণ্ড পরিবর্তন পার্টি’র অধ্যক্ষ পি সি তিওয়ারি। তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। গোটা রাজ্য জুড়ে সরকারি আধিকারিকরা বিজেপির চাপের মুখে কাজ করছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ। যদি বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাহলে তো সমস্ত দলের সভাপতিদেরই ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া উচিত পুলিশের। কংগ্রেসের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি শাসনে রাজ্য পুলিশ কী অবস্থায় রয়েছে এই ঘটনা তার উজ্জ্বল প্রমাণ। অবিলম্বে এর তদন্ত হওয়া উচিত।

Advt

Previous articleফের অগ্নিকাণ্ড কলকাতায়, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮ টি ইঞ্জিন
Next articleবিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনে জমা পড়লো মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের ভিডিও