নন্দীগ্রাম বাদে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিতেই দ্বিতীয় দফা

হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। দিনভর উত্তেজনা ছিল সেখানে। বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে চার জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। নন্দীগ্রাম ছাড়াও ভোটগ্রহণ হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯, বাঁকুড়ার ৮, পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮০.৪৩ শতাংশ।

১৪৪ ধারার মধ্যেই সোনাচূড়া ও কালীচরণপুর গ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।
ঘাটালের পাঁচটি বুথে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে ।
ভোট চলাকালীন বোমাবাজির অভিযোগে উত্তপ্ত পাথর প্রতিমার বেশ কয়েকটি বুথে।
বুথে বুথে টহল দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি (Bjp) প্রার্থী ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh)। বহিরাগত ঢোকানোর অভিযোগে কমিশনে নালিশ করে তৃণমূলের। এলাকায় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন ভারতী। ডেবরায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল (Tmc) প্রার্থী হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) বলেন, ‘‘ভারতী ঘোষ হরিপুর, ইসলামপুর বুথ এলাকায় ২০-২২ টা গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি আমরা।’’
কেশপুরের বিলাসবাড়ের ২৩৫ নম্বর বুথ বিজেপি কর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর মদতে দখল করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

খানাকুলে (Khanakul) বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, কর্মীদের মারধরে অভিযুক্ত শাসকদল। নির্বাচনী কার্যালয় থাকা ৫ বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । তাদের মধ্যে একজনকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতাল ও আরেকজনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
চন্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কাদুয়া ৪৯ নম্বর বুথ এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তীকে (Soham Chakroborty) ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সোহমের এজেন্ট শেখ আজিমুল হোসেনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও খবর মিলেছে। সোহম বলেন, “বুথে ঢোকার সময় যে দলটি আমায় দেখে জয় শ্রীরাম আওয়াজ তুলেছিল তারাই আমায় ধাক্কা দেয়। ঘটনার ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। কোনও কাজ করছে না CRPF”। অন্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে BJP।

বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Sayantika Bandopadyay) একই অভিযোগ করেছেন ৷ ইভিএম বিকলের অভিযোগ বারবার জানানো সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷
ইভিএম বিকল নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল (Tmc) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)৷ সকালের মধ্যেই দেড়শোরও বেশি ইভিএম (Evm) বিকল হয়েছে বলে তোপ দাগেন তিনি ৷ এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে একহাত নেন তিনি ৷

আরও পড়ুন-নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই, জিতবই, চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে: মমতা

বেলার দিকে গড়চক্রবেরিয়ার বেশ কয়েকটি বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত হতে শুরু করে ৷ নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন ৷ অবৈধ জমায়েত হটাতে লাঠিচার্জও করেন তাঁরা।
ঘাটাল এই এলাকার ২৩৮, ২৩৯, ২৪০, ২৪১ এবং ৩০৭ নম্বর বুথে সিপিআইএম (Cpim) ভোটার ও এজেন্টদের ঢুকে না দেওয়ার অভিযোগ। কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের শুরু আগেই মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ। চাঞ্চল্য ছড়াল পাথরপ্রতিমায়। মৃতের নাম কমল গঙ্গোপাধ্যায়ের। উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা তিনি। ভোটে পাথরপ্রতিমা বিধানসভা এলাকার গুরুদাসপুর বুথে ডিউটি পড়েছিল তাঁর।

বুথ নেই গ্রামে-এই অভিযোগে ভোট বয়কট করেন বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভার ভালুকাবাসা গ্রামের স্থানীয়রা। ভোট দিতে গিয়ে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়তেই ঘাটালে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধে শামিল সিপিআইএম কর্মীরা।

দ্বিতীয় দফা ভোট ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি মোট ১৬০টি অভিযোগ জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে। সব অভিযোগই পাঠানো হয়েছে ই-মেল মারফত।

তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে ইমেলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্র্যায়েনও। চিঠিতে তিনি বলেছেন, ময়নায় ২০৬, ২৩৯, ২২৫, ২২৭, ২৩১, ২৩৩, ২২৯, ১৪৪ বুথে বিজেপি জ্যাম করেছে। তৃণমূলের অভিযোগ বুথে ঢুকে ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি কর্মীরা। সেখানে থাকা সিআরপিএফকে (Crpf) অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

Advt

Previous articleবেনজির নন্দীগ্রাম: দিনভর উত্তেজনা, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ কমিশনে
Next articleআরসিবিতে যোগ দিলেন বিরাট, এবি ডিভিলিয়ার্স