তুমুল উত্তেজনা নন্দীগ্রামের বয়ালে। প্রথমদিকে তিনি রেয়াপাড়ার বাড়িতে থাকলেও পড়ে ভোট পরিদর্শনে বেরোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইলচেয়ারে বসেই বয়াল ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর বুথে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। ১ ঘণ্টার ওপরে বুথের ভিতরে ছিলেন মমতা। তার আগে সেখানে গিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয় ভোটাররা তাঁকে জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে, মারধর করছে। মমতার কাছে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ৭ নম্বর বুথে গিয়েছিলেন। এবং দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেন। কিন্তু তাঁর সামনেই দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা বচসা শুরু করে দেয়। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি জানতে ফোন করেছেন সুদীপ জৈন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ফোন করে নন্দীগ্রামের পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চান উপ নির্বাচন কমিশনার। এরপর ১ ঘণ্টারও বেশি সময়ের পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফের নিরাপত্তা দিয়ে বুথ থেকে বের করা হল মমতাকে।

আরও পড়ুন-রণক্ষেত্র নন্দীগ্রামের বয়াল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উস্কানিতেই অশান্তি, বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

উল্লেখ্য, তৃণমূল নেত্রী যখন বয়াল মাস্তুল স্কুলের ভিতরে ঢোকেন, সেই সময় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মমতাকে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। তাতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর তৃণমূল-বিজেপি মধ্যে হাতাহাতিও বেধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে রাজ্য পুলিশ এবং র্যাফ। প্রথমদিকে বুথের বাইরের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায়, বুথের ভিতরই আটকে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট বুথের ভিতরে থাকার পর তিনি বেরিয়ে আসেন। এখন তিনি বুথের বাইরে রয়েছেন। পুলিশের তরফে মানবশৃঙ্খল গড়ে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।

দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হতেই বয়াল, গোকুলনগর, সোনাচূড়া নিয়ে সকাল থেকেই নানা অভিযোগ সামনে আসছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে গেরুয়া শিবির। বিষয়টি নিয়ে মমতার কাছে অভিযোগ জানান বয়ালের বাসিন্দারাও। মমতার উপস্থিতিতেই বুথের বাইরে ধুন্ধুমার বেধে যায় তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে।
