Saturday, November 8, 2025

শুধু মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী নয়, এই ভোট দিল্লিতে বিজেপিকে লাল কার্ড দেখানোর: কুণাল

Date:

Share post:

‘২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদী যখন বিরোধী ছিল তখন বলেছিল দেশের সম্পত্তি বিক্রি করা উচিত নয়। আর ২০২১ সালে প্লেন-ব্যাংক থেকে শুরু করে এলআইসি পর্যন্ত বেচে দিচ্ছে। এই মিথ্যাবাদীদের ভোট দেবেন না। এই নির্বাচন শুধু রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য নয় এই ভোট দিল্লিতে বিজেপিকে লাল কার্ড দেখানোর।’ সোমবার তৃণমূলের জনসভায় দাঁড়িয়ে এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

এদিন সন্ধ্যায় শিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি(Manoj Tiwari) সমর্থনে জনসভা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই জনসভা থেকে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে ভিড় জমান জটু লাহিড়ীকে একহাত নিতে ছাড়েননি এই তৃণমূল নেতা। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘জটুদার বয়স ৮২-৮৩ হবে। আমার দাদু কিংবা বাবা বেঁচে থাকলে এই বয়সে তাদের আমি বাজারটাও করতে দিতাম না। অথচ জটুদার রাগ হয়েছে কেন তাকে প্রার্থী করা হয়নি? কেউ বিধায়ক হলে তাকে কি চিরকাল বিধায়ক হতে হবে? এটা কখনো হতে পারে আর কেন বদল করা হচ্ছে, ওনার বয়স হয়েছে তাই।’ এরপর তাকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘বিজেপির B টিমে গেছেন কেন A টিম তো তৃণমূল। মনোজ আপনার ছেলের বয়সী নাতির বয়সী। এই নির্বাচনে তার মাথায় হাত রেখে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুন।’

পাশাপাশি কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি। বলেন, ‘বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির স্লোগান হয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’। কিন্তু জয় শ্রীরাম তো কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নয়। আমার হিন্দুত্ব, আমার ঠাকুর ঘর তার এজেন্সি আমি ভারতীয় জনতা পার্টিকে দেইনি। রাজনৈতিক স্লোগান হওয়া উচিত রুটি-কাপড়া-মকানের উপর ভিত্তি করে। এখানে কেন ঠাকুরকে নিয়ে স্লোগান দেওয়া হবে? তবু যারা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে চান তাদের বলব, হ্যাঁ আমি জয় শ্রীরাম বলবো যদি পেট্রোল পাম্পে এই স্লোগান দিলে পেট্রোলের দাম ৪০ টাকা ডিজেলের দাম ৩০ টাকা নেয়। ২০০ টাকায় যদি রান্নার গ্যাস দেয়। তবে অবশ্যই এই শ্লোগান দেবো আমি।’

আরও পড়ুন:কাকে বোকা বানাচ্ছে বিজেপি? কয়লাকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ অভিষেকের

একই সঙ্গে একযোগে বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চাকে আক্রমণ শানিয়ে কুণাল ঘোষ আরো বলেন, ‘জোটের প্রার্থী নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। কিন্তু সিপিএম মানে গণহত্যা, লোডশেডিং, হাওড়া অঞ্চলের কারখানাগুলো সব বন্ধ করেছে। কম্পিউটার তুলে দিয়েছে। ইংরেজি তুলে দিয়ে যুবসমাজের কোমর ভেঙেছে। এদেরকে ভোট দেবেন না। বিজেপিকে ভোট দেবেন না কারন ওরা সব কিছু প্রাইভেট করছে। দেশের ব্যাংককে বেসরকারি করছে। এলআইসি বিক্রি করছে। ক্ষমতায় আসার আগে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিছু পালন করেনি। এদেরকে বিশ্বাস করবেন না। বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে তৃণমূলকে ভোট দিন। ধর্মের নামে জাতির নামে বিভাজনের রাজনীতি করে যারা তাদের বিরুদ্ধে লড়তে তৃণমূলকে ভোট দিন।’

Advt

spot_img

Related articles

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...