ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলে কংগ্রেস -তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করতে পারে। অর্থাৎ বিজেপিকে রুখতে প্রয়োজনে কংগ্রেস এবং তৃণমূল আবার একজোট হতে পারে। বুধবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। কিন্তু প্রদেশ সভাপতি হঠাৎ কেন এমন ইঙ্গিত দিলেন? কী হতে পারে একুশের ভোটের ফলাফল? অধীরের মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অধীর জানান, একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন তাঁরা। পাশে রয়েছে রাজনীতিতে সদ্য যোগ দেওয়া নতুন দল আইএসএফ। তিন দলের জোট সংযুক্ত মোর্চার প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল আর বিজেপি । কিন্তু ভোটের পর প্রয়োজন হলে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা একেবারে উড়িয়ে দিলেন না খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধীকে মমতার চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে কংগ্রেসের নৈতিক জয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই অধীরের এই মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, অধীর এদিন আরো ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ব করেন তাহলে কি ভোটের পরে কংগ্রেস আর তৃণমূল আবার এক হয়ে যাবে? জবাবে অধীর বলেন, “কাল্পনিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এটা নয়। আমরা সংযুক্ত মোর্চা নবান্ন দখলের লক্ষ্যেই এগোচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেলে কোথায় যাবেন বলতে পারব না। তবে পলিটিক্স ইজ দ্য আর্ট অব পসিবিলিটিস। রাজনীতি আসলে সম্ভাবনাময় শিল্প। এখানে কখন কার সঙ্গে কী যে হয়ে যায়, তা আগাম বলা যায় না।”
অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যকে অবশ্য তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী তাপস রায়। তিনি বলেন, “এখন এসব নিয়ে ভাবার কোনো মানেই হয় না। কবে মাসির গোঁফ গজাবে তারপর তাকে মামা ডাকবে।” তিনি বলেন, “বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতূত্বে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়বে। আমরা ২০০র বেশি আসনে জিতব। কারোর সঙ্গে জোট গড়ার কোনো প্রয়োজন হবে না আমাদের। । তাছাড়া কার সঙ্গে কার জোট হবে তা তো আর অধীর বললে হবে না। সেই জোটের চিন্তা করবেন সোনিয়া গান্ধী। তবে অধীররা যে সঙ্কটে পড়েছে তা পরিষ্কার।” বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, অধীর চৌধুরির এই মন্তব্য বুঝিয়ে দিল মানুষের কাছে দুটো বিকল্প। এক তৃণমূল এবং দুই বিজেপি। কংগ্রেস-সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে সেটা নষ্ট হবে। এরা গিয়ে ঠিক তৃণমূলের হাত ধরবে। কটাক্ষ জয়প্রকাশের।