চতুর্থ দফায় আরও কড়া কমিশন, বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

রাজ্যজুড়ে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) আগের তিন দফায় একাধিক জায়গা থেকে সন্ত্রাসের ছবি ফুটে উঠেছে। শাসক-বিরোধী একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলেছে। বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে প্রার্থীদের ঘিরে। আক্রান্ত হয়েছেন মহিলা প্রার্থীরা। প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) ও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ভূমিকা নিয়েও। রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) বিরুদ্ধেও ভুরি ভুরি অভিযোগ শাসক-বিরোধীদের।

আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ১০০০ কোম্পানি ছাড়াল বাহিনীর সংখ্যা। চতুর্থ দফায় বুথের পাহারায় থাকবে ৭৯৩ কোম্পানি। এর মধ্যে কলকাতা পুলিশ এলাকায় থাকবে ৯৪, আলিপুরদুয়ারের ৯৬, কোচবিহারে ১৮৩, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে ৯৯, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলায় ৩৮, হাওড়া গ্রামীণে ৩৫,বারুইপুর পুলিশ জেলায় ৪৪, চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটে ৭৯ কোম্পানি। এর পাশাপাশি স্ট্রংরুম, পোস্টাল ব্যালট ও ভোট হয়ে যাওয়া কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সবমিলিয়ে ১০০০ কোম্পানির বেশি বাহিনী রয়েছে বাংলায়।

৫ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারি আরিজ আফতাব। তৃতীয় দফায় প্রার্থীদের উপরে হামলার ঘটনার পর সতর্ক প্রশাসন। প্রার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী চাইলে সর্বাগ্রে তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করতে হবে।

১০ এপ্রিল রাজ্যের ৫ জেলার ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ। চতুর্থ দফার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ওই বৈঠকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ভোটের দিন অশান্তি রুখতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে প্রার্থীদের নিরাপত্তা। ইভিএম নিয়ে কোনও গাফিলতি করা চলবে না।

Advt

Previous articleকরোনার দাপটে বন্ধ হল এক স্কুল, সংক্রমণ ছড়িয়েছে খড়্গপুর আইআইটিতেও
Next articleBreaking : পুলিশের অনুমতি নেই, বেহালায় মিঠুনের কর্মসূচি বাতিল