শেষপর্যন্ত মৃত্যুই হল নন্দীগ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর

শুভেন্দুর বহিরাগত গুন্ডাবাহিনীর হাতে নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হওয়ার ১৩ দিন পর লড়াই শেষ রবিন মান্নার। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল নন্দীগ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর। ১৩ দিন যমে-মানুষে টানাটানির পর আজ শুক্রবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

গত ২৭মার্চ রবীন মান্না-সহ তিনজন তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় রবীন মান্নাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখছিলেন।
নেত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে মৃতদেহ সন্ধির মধ্যেই নন্দীগ্রামে আনা হবে। এরপর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসবে তৃণমুল। মৃতদেহ নন্দীগ্রাম থানার সামনে রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবি, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
তৃতীয় দফার ভোটের আবহেই বয়াল ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তিন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়৷ ওই তৃণমূল কর্মীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। আক্রান্তদের মধ্যে রবীন মান্না ছিলেন।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি-র হার্মাদরা এই হামলা চালিয়েছে। বার বার পুলিশকে এদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷
তাঁর স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা এখনও ঘরছাড়া। এই হিন্দু পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে নন্দীগ্রামেরই একটি মুসলিম মহল্লা।
শহীদ রবিন মান্নার রক্তের ঋণ সুদ সমেত মেটাতে হবে ২রা মে, রবীন্দ্রসঙ্গীতের সিডিগুলো সপ্তাহ খানেক আলমারিতে রেখে দিন, বলছেন স্বজনহারারা।

Advt

Previous article‘কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে প্রচার বন্ধের প্রস্তাব দিচ্ছে ওরা’, গুরুতর অভিযোগ মমতার
Next articleআব্বাসের ভাই নওশাদকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, ভোটের ভাঙড়ে উত্তেজনা