মমতার সত্যাগ্রহে পরের পর ছবি ফুটল রংতুলিতে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) প্রচারের উপর ২৪ ঘন্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। কমিশনের এহেন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে সব মহল। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের(election commission) এহেন অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গায়ে কালো শাল জড়িয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সত্যাগ্রহে(Dharna) বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ধর্মতলায় অস্থায়ী ছাউনির নিচে প্রতিবাদে বসেন তিনি। কোনরকম দলীয় ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা ছাড়া একা হুইল চেয়ারে বসে একের পর এক ছবি আঁকতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রতিবাদ মঞ্চে তাঁর সঙ্গী তখন রঙ, তুলি ও ক্যানভাস বোর্ড। অস্থায়ী ছাউনির ভিতর মমতা ছাড়া কোনও তৃণমূল নেতৃত্বকে দেখা না গেলেও, অস্থায়ী ছাউনির বাইরে দেখা যায় কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসংখ্য সাধারণ মানুষ নিজের নিজের মতো করে নীরবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এদিন ধর্মতলা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার জন্য শুরুতে সেনার অনুমতি নিয়ে জটিলতার শুরু হয়। তাই ত্রিপলের ছাউনির নিচে হুইলচেয়ারে একাই ধর্না শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বসার পর একে একে আঁকার সরঞ্জাম বের করেন তিনি। তার সঙ্গে ছিল তুলি, রং, আঁকার জন্য ক্যানভাস বোর্ড। একই সঙ্গে ছোট দুটি টেবিলও সঙ্গে করে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্নায় বসার পরই শুরু করেন ছবি আঁকা। তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই ধর্না কর্মসূচিতে একাধিক ছবি আঁকতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে। আঁকা শেষ করে সংবাদমাধ্যমকেও সেই ছবি দেখান মুখ্যমন্ত্রী। নিজের আঁকা ছবি মোবাইলেও ক্যামেরাবন্দী করেন তিনি।

আরও পড়ুন:করোনা যেতে এখনও ঢের দেরি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সতর্ক করল WHO

অন্যদিকে, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্থায়ী ছাউনির বাইরে নীরব প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় অসংখ্য সাধারণ মানুষকে। জাতীয় পতাকা হাতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান সমাজের নানা স্তরের সাধারণ মানুষ। ছিলেন মহিলারাও। তবে এত কিছুতেও তৃণমূল নেত্রী যে দমবার পাত্র নয় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এদিনই। কমিশনের নির্দেশ মতো আজ রাত ৮টায় নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বারাসত ও বিধান নগরে দুটি জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advt