সিসি ক্যামেরায় শীতলকুচির ‘ঘটনা’ ধরা নেই কেন? কমিশনের অস্বস্তি ঢাকছেন বিজেপি নেতারা

শীতলকুচি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতাই প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। ঘটনার কাটা ছেঁড়া করতে গিয়ে বারবার একটাই প্রশ্ন উঠছে, আর সেই প্রশ্নর উত্তর নেই কমিশনের কাছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি ছোড়ার দৃশ্য কেন সিসি ক্যামেরায় বন্দি হল না? কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও বা তাদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার দৃশ্যটি কেন সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি? এই প্রশ্নের মুখে পড়ে বারবার কমিশন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। ফলে তাদের ঘেরাও তত্ত্ব বা অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার যুক্তিকে বেশিরভাগ রাজনীতিক ‘মিথ্যা’ বলতে দ্বিধা করছেন না। একইসঙ্গে ‘ডিলিট’ বা মুছে দেওয়ার তত্ত্বও সামনে চলে আসছে।

আর এখানেই কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে নানা যুক্তি ‘সাজানো’ হয়েছে বটে, কিন্তু কমিশনের অন্দরে কান পাতলেই বোঝা যাবে পরিস্থিতি মোটেই ততটা সহজ নয়। কেন? পঞ্চম দফার ভোটের আগে বাহিনীকে কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, দুমদাম গুলি চালানো নয়। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হঠাৎ কেন এই নির্দেশ? কমিশনের এক অফিসার নাম প্রকাশ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, প্রথম তিন দফার ভোটে কমিশন যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছিল, চতুর্থ দফায় তা ধুলোয় মিশে গিয়েছে। রাজনৈতিক দলের প্ররোচনা তো থাকবেই। কিন্তু বাহিনীকে সেটা বুঝেই কাজ করতে হবে। ভোটার খুনের অভিযোগ আদালত পর্যন্ত পৌঁছলে এবং কোথাও সামান্য ভিডিও প্রমাণ থাকলেই ‘বেইজ্জত’ হবে কমিশন। কেন্দ্রের শাসক দলের নেতারা বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ায় কমিশনের সুবিধা হলেও, আসলে তারা বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে।

Advt

 

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleরেকর্ড ছাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ, রাজ্যে এল চার লক্ষ ভ্যাকসিন