গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে শীতলকুচি এফেক্ট, বহরমপুরে জমলো না দিলীপের চায়ের আড্ডা

একদিকে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অন্যদিকে শীতলকুচি (Shitalkuchi) কাণ্ডের এফেক্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বারাসতের জনসভার পর, এবার মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) “চায়ে পে চর্চা”য় চেনা ভিড় উধাও।

এবার বহরমপুর (Baharampur) বিধানসভার বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে চরম অস্বস্তিতে দল। বহরমপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সুব্রত মৈত্র ওরফে কাঞ্চন এবার গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী। তাঁকে নিয়ে শুরু থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি।এই কেন্দ্রে জয় তো দূরের কথা, লড়াই করাও কঠিন হয়ে পড়ছে পদ্ম শিবিরের জন্য।

লড়াইয়ে ফিরতে স্বয়ং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ময়দানে নেমেছেন। বহরমপুরে দিলীপ ঘোষের প্রাতর্ভ্রমণে চায়ের আড্ডা বসিয়ে ছিলেন, কিন্তু তা জমলো না। দিলীপকে ঘিরে সেভাবে ভিড় চোখে পড়লো না। তাঁর ঘন্টাখানেক প্রাতর্ভ্রমণে সঙ্গী বিজেপি কর্মীর সংখ্যা ছিল যথেষ্ট কম। বহরমপুরের বিজেপি প্রার্থী তথা বহরমপুর পুরসভার পর্যবেক্ষক সুব্রত মৈত্র ওরফে কাঞ্চন বলেন, “রাজ্য সভাপতির হঠাৎ কর্মসূচি মঙ্গলবারের প্রাতর্ভ্রমণ। যারা আসতে পেরেছি তারাই তাঁর সঙ্গে ছিলাম।” অথচ গত নভেম্বরে দিলীপ ঘোষের প্রাতর্ভ্রমণ এবং চা খেতে খেতে বহরমপুরের মানু‌ষের সঙ্গে গল্প-আড্ডার চর্চা এখনও শহরজুড়ে হয়।

তাহলে ভোটের মুখে অন্য ছবি কেন? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা দুটি বিষয় তুলে ধরছেন। (এক),
বিজেপির প্রার্থী পছন্দ না হওয়াতেই পদ্মের পালে হাওয়া কম বহরমপুরে। একইসঙ্গে প্রার্থী কাঞ্চন মানুষের কাছে দলীয় প্রতীকের পরিবর্তে ভোট চাইছেন তাঁর সংগঠন ক্ষুদিরাম পাঠাগারকে সামনে রেখে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দলের অনেক নেতা-কর্মী তাঁর পাশে নেই। আর (দুই), চতুর্থ দফার রক্তক্ষয়ী ভোটে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার তরতাজা যুবকের মৃত্যুর ঘটনার প্রভাব গোটা রাজ্যের মতো মুর্শিদাবাদ তথা বহরমপুরেও পড়েছে। যার ফলে, মোদি থেকে শুরু করে নাড্ডা, শুভেন্দু থেকে শুরু করে রাজনাথ কিংবা দিলীপ ঘোষের কর্মসূচিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

Advt

 

 

Previous articleকরোনায় বেসামাল ভোটের বাংলা, পরিস্থিতি সামলাতে কমিশনকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
Next article“কান ধরে দিলীপ ঘোষকে বের করে দেওয়া উচিত”, কমিশনকে কড়া পদক্ষেপ আর্জি সেলিমের