ফের সংযুক্ত মোর্চা জোটে ফাটল। যতদিন যাচ্ছে জোটের ফাটল ততই বাড়ছে। জোট জটের মধ্যেই রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট সাঙ্গ হয়েছে। বাকি চার দফা ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে কৃষ্ণগঞ্জে (Krishnagunj) সংযুক্ত মোর্চায় (Sanjukta Morcha) ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। এবার সংযুক্ত মোর্চা মনোনীত প্রার্থী আইএসএফের (ISF) অনুপ কুমার মণ্ডল তাঁর অনুগামী ও সমর্থকদের প্রকাশ্যে সরাসরি তৃণমূলে (TMC) ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। যা নিয়ে জোট ম্যানেজারেরা প্রবল অস্বস্তিতে।

একইসঙ্গে আইএসএফ প্রার্থী অনুপ কুমার মণ্ডল বিজেপিকে (BJP) সাম্প্রদায়িক ও বিভেদকারী দল বলে কটাক্ষ করে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, অনুপবাবু সিপিএম (CPIM) প্রার্থী ঝুনু বৈদ্যর বিরুদ্ধে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। সব মিলিয়ে নদিয়ার এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বাড়তি সুবিধা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-‘এ রাজনীতি বড্ড জটিল, মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে, এমন সরকার হওয়া উচিত’, মত দেবের

নদিয়ার একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। তার মধ্যে চাপড়া ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সিপিএম নতুন করে প্রার্থী দাঁড় করায়। চাপড়ায় আইএসএফ প্রার্থী কাঞ্চনা মৈত্রর পাশাপাশি জাহাঙ্গির আলি বিশ্বাসকে সিপিএম প্রার্থী করে। অন্যদিকে, কৃষ্ণগঞ্জে আইএসএফ প্রার্থী অনুপকুমার মণ্ডলের পাশাপাশি সিপিএম ঝুনু বৈদ্যকে প্রার্থী করেছে। এই ঘটনায় জোট শরিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। আর এখন ভোটের মুখে তা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

কৃষ্ণগঞ্জে আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) দলীয় প্রার্থী অনুপ কুমার মণ্ডল ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “সিপিএম ঝুনু বৈদ্যকে প্রার্থী করায় সংযুক্ত মোর্চার অন্যান্য শরিকদের ভোট আমি পাব না। ঠিক তেমনি সিপিএম প্রার্থীও জিততে পারবে না। সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে একমাত্র তৃণমূল রুখতে পারবে বলে আমার মনে হয়। তাই তৃণমূলের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই আমার অনুগামীদের জোড়াফুলে ভোট দেওয়ার আহ্বান করেছি। আমার জামানত জব্দ হলেও দুঃখ পাব না। কিন্তু বিজেপিকে রোখার প্রয়োজন। আপনারা সবাই জোড়াফুলে ভোট দিন।”
