সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়কের পুত্র শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে, কৌতূহল চরমে

তৃণমূল সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত সচিবের পুত্র তমোঘ্ন ঘোষ বৃহস্পতিবার যোগ দিলেন বিজেপিতে৷ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) হাত ধরে এদিন এই যোগদান হয়েছে৷

তমোঘ্ন দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের ছাত্র ও যুব ফ্রন্টের সামনের সারির নেতা৷ এই মুহুর্তেও তমোঘ্ন ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) সঙ্গে তমোঘ্ন’র সম্পর্ক খুবই নিবিড়৷ তমোঘ্ন’র বাবা তপন ঘোষ সুদীপের সাংসদ তহবিলের কাজের দায়িত্ব থাকা সহায়ক৷ চলতি ভোটে সুদীপের পরামর্শেই জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে৷ তাঁর পুত্র তমোঘ্ন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন, অথচ সুদীপবাবু তা আগে জানতেন না, এমন কথা দলের কেউই মানতে রাজি নন৷ অথচ, তমোঘ্নকে ধরে রাখার বিষয়ে সুদীপের ন্যূনতম তৎপরতাও দেখা যায়নি৷ এই দলবদল নিয়ে সুদীপের হাত গুটিয়ে বসে থাকাকে স্বাভাবিক বলে মানতে রাজি নন ঘাসফুল-শিবির৷ সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে তমোঘ্নকে কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী করার নিশ্চিত আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷ শুভেন্দুর হাত ধরে তমোঘ্ন’র এই দলবদলে তৃণমূলের কোনও স্তরেই কোনও প্রভাব পড়ছে না বলে উত্তর কলকাতা তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে৷

একুশের ভোট তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই ভোটের ফলাফলের উপর দলের ভবিষ্যত অনেকখানি নির্ভর করছে৷ সেই পরিস্থিতিতে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা যতখানি সক্রিয় থাকা উচিত ছিলো, দলের নেতা-কর্মীরা সেইভাবে এই নেতাকে পাচ্ছে না৷ দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি তথা মোদি- শাহের বিরুদ্ধে পথে নেমে সরব হয়েছে তৃণমূলের সর্বস্তর৷ অথচ ঠিক সেই ভূমিকায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও দেখা যায়নি৷ দিল্লির সাংবাদিক মহল তো প্রকাশ্যেই বলে, দলের নির্দেশে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে ‘কথা’ বলতে না হলে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি-শাহের বিরুদ্ধে কখনই কিছুই বলেন না৷ বিজেপির বিরুদ্ধে চট করে মুখ খুলতেই চান না তৃণমূলের এই সাংসদ৷ দিল্লির সাংবাদিকদের এই ধারনা যে অমূলক নয়, তা বোঝা গিয়েছে না রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে সুদীপকে সেইভাবে দেখতে না পাওয়ায়৷ গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গা-ছাড়া মনোভাব, সুদীপবাবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী তপন ঘোষের পুত্র তথা যুব তৃণমূল নেতা তমোঘ্ন’র বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং এ বিষয়ে সুদীপের মুখ না খোলা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরেই নানা প্রশ্ন ভেসে উঠেছে৷

Advt

Previous articleনিষেধাজ্ঞা উঠতেই কমিশনের নাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য রাহুলের
Next articleমহানগরের রাজপথে মমতার রোড শো, পাশে হাঁটলেন জয়া