পিঠে গুলি, মাথায় ভারী বস্তুর আঘাত: শীতলকুচি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অস্বস্তিতে বাহিনী

শীতলকুচি ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে ফের চাপে পড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটগ্রহণের দিন সিআইএসএফ জওয়ানদের গুলিতে ভোটের লাইনে প্রাণ হারান চারজন। সে ঘটনায় আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর তত্ত্ব তুলে ধরে কমিশন। একই সঙ্গে সেই তত্ত্ব প্রচার শুরু করেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা বলতে শুরু করেন প্রচুর মানুষ বুথে হামলা চালিয়েছিল। জওয়ানদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। যে চারজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে *একজনের পিঠে গুলি লেগেছে* । বাকিদের গুলি লেগেছে *মাত্র 10 মিটার দূরত্ব থেকে*। প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কেউ হামলা চালান তাহলে তাঁর পিঠে গুলি লাগে কী করে? মাত্র 10 মিটার দূরত্ব থেকে কেন পায় লক্ষ্য করে গুলি করা গেল না? কেন গুলি সোজা বুকে বিঁধল। নিহত একজনের গায়ে স্প্লিন্টারের আঘাত পাওয়া গিয়েছে। আত্মরক্ষার্থে স্প্লিন্টার ছোড়া হল কেন? এই প্রশ্ন উঠছে।

শীতলকুচি কাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে ফের একবার সিআইএসএফ (Cisf)-কে কাঠগড়ায় তুলেছে অ-বিজেপি দলগুলি। গত ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে যে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে,

• নিহত হামিদুল মিয়ার পিঠে গুলি লেগেছে।
• সামিউল মিয়ার শরীরে ভারী বস্তুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
• সঙ্গে রয়েছে স্প্লিন্টারের ক্ষত।
• আলম মিয়া ও মইনুদ্দিন মিয়ার গুলি লেগেছে বুকে।
• গুলি চালানো হয়েছে মাত্র ১০ মিটার দূর থেকে।

প্রশ্ন উঠছে,
▪︎কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে হামিদুল মিয়ার পিঠে গুলি লাগল কী করে?
▪︎সামিউলের মাথায় কে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করল?
▪︎কেন তাঁর দেহে স্প্লিন্টারের ক্ষত?
▪︎মাত্র ১০ মিটার দূর থেকে গুলি চললেও আলম মিয়া ও মইনুদ্দিন মিয়ার বুকে গুলি লাগল কেন?
▪︎এত কম দূরত্বে পা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল না কেন?

কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি ছিল, বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালান উন্মত্ত গ্রামবাসী। তাঁদের রুখতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, যে যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, তাতে অস্বস্তিতে বাহিনী।

Advt

Previous articleজামিন পেতে প্রভাব খাটাচ্ছে বিজেপি’র রাকেশ সিং, গুরুতর অভিযোগ পামেলার বাবার
Next article১৮ থেকেই নেওয়া যাবে ভ্যাকসিন, প্রবল চাপের মুখে নয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের