কেন্দ্রীয় সরকারের(central government) টিকা বন্টন নীতির বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল বাংলার সব মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিতে চায় রাজ্য। সে জন্য রাজ্যই সরাসরি উৎপাদক সংস্থার থেকে টিকা কিনে নিতে চায়। যদিও কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দেওয়া হয়নি। অতঃপর করোনার বাড়বাড়ন্তে কেন্দ্রীয় সরকার টিকা খোলাবাজারে বিক্রির অনুমতি দিয়ে দেওয়ায় এখন মমতারই জয় দেখছে তৃণমূল(TMC)। এক ছোট্ট টুইটে বুধবার এ কথাই স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন(Derek O’Brien)। একইসঙ্গে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মোদি সরকারের নোটবন্দি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সর্বপ্রথম সরব হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই টুইট উদাহরণ হিসেবে টেনে আনলেন ডেরেক। টুইটে তিনি লেখেন, দুটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সক্রিয় ছিলেন। নোটবন্দি ঘোষণার ২ ঘণ্টা পরেই কঠোর সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও তিনি (মমতা বন্দোপাধ্যায়) বলেছিলেন, উনি (নরেন্দ্র মোদি) গুরুত্ব দেননি।
SHE was spot on for BOTH.
Two hours after #demonetization announcement she tweeted👇this. #vaccine too. She wrote. HE ignored. https://t.co/94xSKSusbZ
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) April 21, 2021
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে করোনা টিকা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলে টিকা নিতে পারবেন। এবং টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় জোয়ার আনতে খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে করোনা টিকা। মোদি সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরই তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা না শোনা কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে ডেরেক ও ব্রায়নের দাবি অনুযায়ী, অনেকটা ঠিক নোট বন্দির মতই। তবে একেবারে শিরে সংক্রান্তি অবস্থায় দেরিতে হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনার পথেই হেঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার।