‘বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের খেলা হবে, আর বিজেপি হারবে’, বললেন মমতা

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একলাখী-বালুরঘাট রেললাইন তৈরি করেছি। তপনে স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়েছে, বালুরঘাটে সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল হয়েছে। তপন দিঘি নতুন করে সংস্কার হচ্ছে, ৩৭ কোটি টাকা খরচ হবে, মাছ চাষ হবে, সংরক্ষণ হবে, পর্যটন কেন্দ্র হবে, এতে অনেক কর্মসংস্থান হবে।

এখানে অনেক রাস্তা ও সেতু তৈরি করা হয়েছে, এখানে জল সমস্যা মেটাতে ব্লক জুড়ে নলকূপ বসানো হচ্ছে। নদীর জল পরিশ্রুত করে খাবার জল বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আদিবাসীদের জন্য জমির আইন করা হয়েছে, জমি কেউ নিতে পারবে না, ৬০ বছর বয়সের পর পেনশন পাওয়া যাবে। সাঁওতালি ভাষার স্কুল হয়েছে, ‌‌একাডেমি হয়েছে রাজবংশী ভাষার।

গত ৬-৭ বছরে রাজ্যে ৯৫ হাজার কিমি রাস্তা হয়েছে, আর‌ও ৪৫ হাজার কিমি রাস্তা হবে। আমরা সামাজিক সুরক্ষার যোজনায় দেড় কোটি মানুষকে এনেছি, পান, বিড়িওয়ালা থেকে টোটো চালক সবাই আছে।

বিনা পয়সায় রেশন চলবে, আগামী দিনে আমরা বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব, কৃষকরা একর প্রতি ৬ হাজার টাকা পান, ওটা ১০ হাজার করে দেব, প্রান্তিক চাষীদের ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার করে দেব, কৃষকদের খাজনা দিতে হয় না, কৃষি জমির মিউটেশন দিতে হয় না।

ছাত্র-ছাত্রীদের ১০ হাজার টাকা দিচ্ছি স্মার্ট ফোন দিয়ে পড়াশোনার জন্য। স্বাস্থ্যসাথীতে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা করার জন্য। তিন বছর অন্তর শুধু রিনিউ করতে হবে। কার্ড হবে বাড়ির মা বোনেদের নামে।

মা-বোনেদের হাত খরচের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ থেকে হাজার টাকা পাবেন, তপশিলি আর আদিবাসীরা ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পায় ভাইরে পড়াশোনার জন্য, এবার সবার জন্য ১২০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করে দেবো, পড়াশোনার জন্য জমি বাড়ি বন্ধক দিতে হবে না, সরকার জামিন থাকবে।

আরও পড়ুন-অশান্তি অব্যাহত বারাকপুরে, পা ভাঙল বিজেপি কর্মীর

ক্ষুদ্র শিল্পে দেড় কোটি ছেলে মেয়েদের চাকরি হবে, আরও ৫ লক্ষ ছেলে-মেয়ের চাকরি হবে সরকারি-বেসরকারি জায়গায়। আমরা কিন্তু মাসের ১ তারিখে মাইনে দিই। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না ।

এখন আবার কোভিড আসছে, আমি নরেন্দ্র মোদিকে বলেছিলাম, আমাদের অনুমতি দিতে ভ্যাকসিন কিনে নেব, আমাদের অনুমতি ছিল না। আমরা কিন্তু ৯৩ লক্ষ ভ্যাকসিন দিয়ে দিয়েছি। এখনো বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ৫ তারিখের পর সবাইকে বিনা পয়সায় দেব। কেন কেন্দ্র ভ্যাকসিন কিনলে ১৫০ টাকা আর রাজ্য কিনলে ৪০০ টাকা, একদামে ভ্যাকসিন দিতে হবে, কেন্দ্রের কাছে পিএম কেয়ারের টাকা পড়ে আছে, ওই টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন দিলে কোভিড বাড়তো না।

ভোট অবশ্যই দেবেন, নাহলে NRC করে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে। যাদের কোভিড হয়েছে তারা সন্ধ্যে ৬টার পর ভোট দেবেন। আমরা সঙ্গে আছি, কর্পোরেট হাসপাতালের সঙ্গে ২টো করে সেফ হাউসের ব্যবস্থা হয়েছে, এখন ১০০ হাসাপাতাল আর ২০০ সেফ হাউস আছে। কোভিডের ভ্যাক্সিন লুকিয়ে রেখেছিলে, কাউকে কিনতে দাওনি। এই কোভিডটা নরেন্দ্র মোদীর অবদান, তাই আজ মানুষ মারা যাচ্ছে।

বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের খেলা হবে, আর বিজেপি হারবে। ওরা বালুরঘাটের জন্য কোন‌ও কাজ করেনি, তাই ওদের চাইনা। একসাথে যদি থাকতে হয়, তৃণমূলকেই ভোট দিন, দিল্লির দুই গুন্ডার হাতে বাংলা যাবে না।

Advt

Previous articleচিনা রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ছক পাকিস্তানে, ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত ৪
Next articleবিশ্বে প্রথম, দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লাখের বেশি, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা