২০১১-এর পুনরাবৃত্তি, বেলেঘাটায় ঐক্যমঞ্চ দেখালেন কুণাল

বেলেঘাটায় ঐক্যমঞ্চ। তৃণমূলপ্রার্থী পরেশ পালের সমর্থনে কুণাল ঘোষ, জীবন সাহা, সুজাতা মণ্ডল, স্বপন সমাদ্দার

শেষ দফার প্রচারের জন্য হাতে মাত্র আর একদিন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মতো প্রচার শেষ করতে হচ্ছে সন্ধে সাতটার মধ্যে। রবিবার, বেলেঘাটা ও মানিকতলা বিধানসভা অঞ্চলে দলীয় প্রার্থীদের তিনটি সভা করেন তৃণমূল (Tmc) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বেলেঘাটায় তৃণমূল প্রার্থী পরেশ পালের (Paresh Pal) প্রচার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, 2011 সালে পরেশ পাল প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরে বেলেঘাটার নেতাদের নিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রথম বৈঠকটি হয় কুণাল ঘোষের বাড়িতে। কুণাল ঘোষ, পরেশ পাল ছাড়াও সেদিন উপস্থিত ছিলেন জীবন সাহা (Jiban Saha), স্বপন সমাদ্দার (Swapan Samaddar)। এদিনের বক্তৃতায় সে কথা উল্লেখ করে কুণাল বলেন, “সেদিন যাঁরা বৈঠকে ছিলেন আজ এই মঞ্চে তাঁরাই একসাথে আছি”। উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষ, জীবন সাহা, স্বপন সমাদ্দাররা পরেশ পালের উপর ক্ষুব্ধ বলেই দলীয় সূত্রে খবর। তবে, এদিন প্রচার মঞ্চ থেকে কুণাল ঘোষ বলেন, এখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এই ধর্মযুদ্ধে ব্যক্তিগত রাগ-অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে তৃণমূলকে জয়ী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানোই প্রধান লক্ষ্য। সভায় উপস্থিত ছিলেন জীবন সাহা, স্বপন সমাদ্দার, পাপিয়া ঘোষ (Papiya Ghosh), আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ (Sujata Mandal Khan)। তিনি বলেন, করোনা সংকটে দেশের মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বাংলায় তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে ছুটে আসছেন বিজেপির (Bjp) কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভা দুটি কুণাল ঘোষ করেন মানিকতলা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সাধন পান্ডের (Sadhan Pandey) সমর্থনে। ছিলেন সুজাতা মণ্ডল খাঁও। প্রথমে 14 নম্বর ওয়ার্ডে সভা করেন কুণাল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্তি পান্ডে (Supti Pandey), মৃত্যুন পাল (Mtityun Pal)। এরপর 16 নম্বর ওয়ার্ডের প্রচার সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রেয়া পান্ডে (Shreya Pandey), সাধন সাহা (Sadhan Saha)।

কুণাল ঘোষ বলেন, আলাদা করে সাধন পান্ডের জন্য ভোট চাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ দশকের পর দশক স্থানীয় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেন সাধন পান্ডে। করোনার সময় রাস্তায় নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সময় এই মানিকতলা (Maniktala) কেন্দ্রের যিনি বিজেপি প্রার্থী সেই কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chowbey) নিজের বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে বসেছিলেন।

করোনা (Carona) সংকটের কথা উল্লেখ করে কুণাল বলেন, তৃণমূল কখনোই এভাবে প্রচার করতে চায়নি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বিজেপির সহায়তা করার জন্য রাশ না টানায় প্রচার চলছে। আর সংসদীয় গণতন্ত্রে বিজেপির নেতাদের একতরফা কুৎসার জবাব দিতেই তাঁদের প্রচার করতে হচ্ছে বলে জানান কুণাল। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিল্লি থেকে বিমানে আসার সুবিধের করার জন্যেই সকাল 10 টা থেকে সন্ধে 7 টা পর্যন্ত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি নির্বাচন কমিশন।

ভ্যাকসিন (Vaccine) নিয়েও কেন্দ্রকে তুলোধনা করেন তৃণমূল মুখপাত্র। বলেন, দেশের মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না, অক্সিজেনের অভাবে দেশজুড়ে হাহাকার। আর প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে উৎখাত করার জন্য ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। কুণালের কথার সমর্থনে বিপুল হাততালি দিয়ে ওঠে উপস্থিত জনতা।

আরও পড়ুন- নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিতে প্রাণ হারালেন মহিলা ভোটকর্মী

Advt

Previous articleম‍্যাচ শেষে জাদেজার প্রশংসায় ধোনি
Next articleসপ্তম দফায় খেলতে নামছেন একঝাঁক রথী-মহারথী! একঝলকে পরিচয় সেরে নিন