মালদহ সফরের শুরুতে ওষুধ-অক্সিজেনের অভাব নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ মানস-কুণালের

দেবস্মিত মুখোপাধ্যায়
(হেলিকপ্টারে সফরসঙ্গী)

শেষদিনের প্রচারে মালদহে যাচ্ছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, এবং আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। এদিন কলকাতা থেকে মালদহে হেলিকপ্টারে সফরসঙ্গী ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “দলের তরফ থেকে আজ তিনটি জনসভা রয়েছে মালদহে। বৈষ্ণবনগরে বিজেপির ‘গোখরো’ ( মিঠুন চক্রবর্তী) যেখানে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে এসেছেন সেখানে জনসভা রয়েছে।” এদিন কুণাল আরও বলেন, “আমরা প্রচার করার পক্ষে নই। করোনার কারণে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন তিন দফার ভোট একদফায় হোক, ২ দফার ভোট একদফায় হোক । বিজেপি আর তার event-management কোম্পানি অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন তারা বাধ্য করছে প্রচারে। এবারে সংসদীয় গণতন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে, আমরা বলছি প্রচার শেষ হোক বন্ধ হোক কিন্তু সেখানে অন্য দল বিজেপি চারপাশ থেকে লোক এনে মানুষের মধ্যে বিষ ছড়াতে যায়। ফলে মানুষকে তার উল্টোটা বলতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। তবে এই নয় আমরা প্রচারে আগ্রহী। রেমডেসিভির এক লক্ষ ৬২ হাজার দিল গুজরাটকে। আর মাত্র ৩২ হাজার দিল পশ্চিমবঙ্গকে। ভারতে করোনা সংক্রমনের বিশ্বে এক নম্বরে নিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজ ভোটের শেষ দিন আমরা এটা মানুষকে ভালোভাবে বোঝাবো অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছেনা, রোগীকে কী দেবেন মন কি বাত এর রেডিও খুলে দেবেন? জেলার হোটেল গুলিতে বাইরের রাজ্যের বিজেপি কর্মী ভর্তি। আমাদের কাছে খবর দুই থেকে আড়াই হাজার আধার সোনার জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ ছিল তারা চুপচাপ তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছে।”

আরও পড়ুন-রানিনগরে বিজেপি প্রার্থীর মারধরের অভিযোগ খারিজ কমিশনের

এদিন মানস ভুঁইয়া বলেন, “আমাদের নেত্রী একটি সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরে মানুষের কাছে আবেদন করেছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়েছেন। কী বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলা এবং ভারতবর্ষের করোনার কারণে। উনি বারবার বলেছিলেন আর দফা নির্বাচনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধাক্কা দেওয়ার জন্য এই পরিস্থিতি করল। অক্সিজেন নেই ডাক্তাররা হাহাকার করছেন। আমরা এটাই দেখাতে চাই আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা সঠিক ভাবে মানুষের কথা তুলে ধরেছিলেন। আজকে আমরা এটা প্রমাণ করব গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫৫১ টি অক্সিজেন প্লান্ট করার কথা প্রত্যেকটি হাসপাতালে ঘোষণা করেছেন। গত এক বছর ধরে তাহলে কী করলেন তিনি? এতদিন পরে ঘুম ভাঙলো বিজেপি সরকারের? আমরা একটাই কথা বলব এই রাজ্যটাকে বাঁচাতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

Advt

Previous articleক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে করোনা, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ১৬ হাজার ছুঁই ছুঁই
Next articleকোভিড বিধি মেনে নির্বিঘ্নে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ