অতিমারির ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পিপিই কিট পরে বিয়ে করে যখন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মধ্যপ্রদেশের দম্পতি, ঠিক তার বিপরীত চিত্র দেখা গেল পশ্চিম ত্রিপুরায়। পুলিশ প্রশাসন তো দুরস্ত, করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিয়ের আসরে মধ্যরাত পর্যন্ত চলল বিয়ের অনুষ্ঠান, খাওয়া দাওয়া। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হল খোদ জেলাশাসককে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পশ্চিম ত্রিপুরার মাণিক্য কোর্ট এবং গোলাপবাগান নামে ২টি ভবনে বড় মাপের বিয়েবাড়ির খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে সেখানে হানা দেন জেলাশাসক শৈলেশ যাদব। বিয়েবাড়িতে হাজির নিমন্ত্রিত অতিথি থেকে শুরু করে বর-কনে সকলকেই রীতিমতো ধমক দিয়ে বার করে দেন তিনি এবং সকলকেই আটক করার নির্দেশ দেন। ছিঁড়ে ফেলেন বিয়ের অনুমোদন পত্রও। এমনকি ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর এক বছরের জন্য দু’টি বিয়ে বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়।


চলতি বছরের শুরুতে করোনার দাপট কিছুটা কম থাকলেও মার্চের শুরু থেকে আবার শুরু হয়েছে করোনার বাড়বাড়ন্ত। প্রতিদিন প্রায় গোটা দেশে সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে করোনা রুখতে ইতিমধ্যেই লকডাউনের পথে হেঁটেছে একাধিক রাজ্য। চলছে নাইট কার্ফুও। তবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও করোনার এই ভয়াবহতার মাঝে সাবধান হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। বারংবার প্রচার করা সত্ত্বেও প্রশাসনের কথা মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ। তবে এবার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য যে প্রশাসন কঠোর থেকে কঠোরতম হতে চলেছে তার প্রমাণ দিল ত্রিপুরার এই ঘটনা।

আরও পড়ুন- করোনায় প্রয়াত নরেন্দ্র মোদির কাকিমা

