অতিমারি নিয়েও সংকীর্ণ রাজনীতি মোদির, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা কেড়ে নিলো কেন্দ্র

অতিমারি নিয়েও সংকীর্ণ রাজনীতিতে নেমে পড়েছে মোদি সরকার৷

উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি করোনা-আক্রান্তদের ন্যূনতম পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে৷ সুপ্রিম কোর্ট থেকে একাধিক হাইকোর্ট, বার বার এ কারনে ভর্ৎসনা করছে কেন্দ্রকে, ওই রাজ্যগুলিকে৷ সেই রাজ্যগুলির চরম অপদার্থতার দিকে নজর না দিয়ে কেন্দ্র ‘দাদাগিরি’ শুরু করেছে দিল্লির (Delhi) উপর৷ কেন্দ্র বোঝাতে চাইছে, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি নেই, অক্সিজেনের অভাব নেই, যত গোলমাল শুধু ওই দিল্লিতে৷ ২০১৫ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে
দিল্লির আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেই (Arvind Kejriwal) করোনা-ইস্যুতে কাঠগড়ায় তুললেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা (Narendra Modi- Amit Shah)৷

করোনা সংক্রমণ রুখতে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের বিরুদ্ধে ‘ব্যর্থতা’র অভিযোগ এনে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা কার্যত খর্ব করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে ‘দ্য গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটল টেরিটরি অব দিল্লি (সংশোধিত)’ GNCTD ACT বলবৎ করা হয়েছে। এর ফলে দিল্লির নির্বাচিত আম আদমি পার্টির সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে অতিরিক্ত ক্ষমতা তুলে দেওয়া হলো কেন্দ্র-নিযুক্ত উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল-এর (Anil Baijal) হাতে। এর পর থেকে কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত নিতে হলে কেজরির সরকারকে উপরাজ্যপালের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ মার্চ লোকসভা এবং ২৪ মার্চ রাজ্যসভায় GNCTD ACT বিল পাশ হয়েছিল। তখন সংসদে আপ, কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল এই বিলের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় ওয়াকআউটও করে। ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই বিলে স্বাক্ষর করেন৷ ফলে এখন তা আইনে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন:“এখন রাজ্যের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে”, কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতিকে তুলোধনা সৌগতর

বিজেপির বক্তব্য, রাজধানীতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বিরোধী শিবিরের অভিমত,
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে দিল্লির কেজরি সরকারের সংঘাত নতুন নয়৷
দিল্লির কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন ও ওষুধ সঙ্কট এবং হাসপাতালের বেডের অপ্রতুলতাকে সামনে এনে পর পর দু-দু’বারের বিধানসভা ভোটে কেজরির কাছে ল্যাজে-গোবরে হওয়ার বদলা নিলেন মোদি-শাল৷
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেছেন, নির্বাচিত সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে উপরাজ্যপালের হাতে অধিক ক্ষমতা তুলে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা দিল্লির নাগরিকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সমতুল। এর মাধ্যমে কার্যত দিল্লির ভোটারদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হল।

Advt

Previous articleআরও কঠিন হতে চলেছে আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয়, জানাল বিসিসিআই
Next articleশুরুতেই বিকল হলেও CoWIN-এ আবার শুরু হয়েছে টিকাকরণের নাম রেজিস্ট্রেশন