“এখন রাজ্যের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে”, কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতিকে তুলোধনা সৌগতর

করোনা পরিস্থিতি(Corona situation) ভয়াবহ হয়ে উঠেছে গোটা দেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভ্যাকসিন বন্টনের(vaccine distribution) নিয়ম নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকল ব্যক্তিরা আজ থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এমন এক দিনেই ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজ্য গুলির উপর দোষ চাপানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। সঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রের দায়িত্ব ভ্যাকসিন বন্টন করার।

তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন সৌগত রায় বলেন, “ভ্যাকসিন বন্টনের পদ্ধতি ঠিক করার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তখন নির্বাচনে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী কর্ণপাত করেননি। আগামী ৩০ এপ্রিল বেসরকারি হাসপাতালগুলির থেকে টিকা নিয়ে নেওয়ার ফলে এখন ওই হাসপাতালগুলি প্রথম দফার টিকাও দিতে পারবে না। যার ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।”

পাশাপাশি অভিযোগ তুলে তিনি আরো বলেন, “আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদেরও টিকাকরণ শুরু হবে। কিন্তু রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের রাজ্যের তরফেই টিকাকরণ করাতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম সংগ্রহ কেন্দ্রীয়স্তরে, বন্টন রাজ্যস্তরে হোক। কিন্তু তা শোনেনি কেন্দ্র। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় রাত থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে খোদ কলকাতাতেও।”

আরও পড়ুন:কোভিড রোগীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এলেন সদ্য করোনাজয়ী সোনু সুদ

এছাড়াও সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে লগ্নিতে ভর্তুকি দেওয়া এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাপ দেওয়া।” এছাড়াও ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে বৈষম্য প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় সৌগত রায়কে। তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। অবিলম্বে গণ টিকাকরণ না হলে করোনার ভয়াবহতা আরো বাড়বে।

Advt

Previous articleভ্যাকসিন না নিলে বা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে না পারলে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ : কমিশন
Next articleআরও কঠিন হতে চলেছে আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয়, জানাল বিসিসিআই