জয়ের পরে তিনি জানিয়েছিলেন শপথগ্রহণ করেই প্রথম গুরুত্ব দেবেন রাজ্যের করোনা (Carona) পরিস্থিতিতে। সেইমতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) রাজভবন থেকে সোজা চলে যান নবান্নে। সেখানে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে না। তবে যথেষ্ট নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে।
কী কী নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
• বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে
• সরকারি গণপরিবহন এবং মেট্রো চলবে ৫০%
• সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা এবং বিকেল পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত বাজার-হাট, দোকান খোলা থাকবে
• গয়নার দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত
• সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক
• সরকারি অফিসের ৫০% হাজিরা
• বেসরকারি ক্ষেত্রে অফিসে ৫০ শতাংশ ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর উপর জোর
• সমস্ত বড় জামায়াতে নিষেধাজ্ঞা
• অনুমতি সাপেক্ষে সামাজিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জনের উপস্থিত থাকতে পারবেন
• বিমানে যাতায়াত করতে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট প্রয়োজন
• মল, পার্লার, জিম, সিনেমাহল, রেস্তোরাঁ, বার, স্পা বন্ধ থাকবে
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ২৭০০০ কোভিড (Covid) বেড রয়েছে। আরও তিন হাজার বাড়িয়ে রাজ্যে মোট ৩০ হাজার কোভিড বেড করা হবে। এর মধ্যে ৩০০০ থাকবে আইসিইউ-তে।
ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও জানান মমতা। তিনি বলেছেন, সাংবাদিক, পরিবহনকর্মী এবং হকারদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
“মাস্ক পরুন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, বারবার হাত ধুয়ে ফেলুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন” – রাজ্যবাসীর কাছে এই আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন:বিরোধী দলনেতার দৌড়েও দলবদলু মুকুল-শুভেন্দু, আজই ঘোষণা হতে পারে নাম