করোনা ঠেকাতে পারে কড়কনাথ মুরগি?  

কড়কনাথ বা কালোমাসি। কালো রঙের একরকম মুরগি। যার পালক, ঠোঁট, পা. নখ, ঝুটি, চোখ, এমনকী মাংসের রঙ পর্যন্ত কুচকুচে কালো। এই বিরল প্রজাতির মুরগির মাংসই শুধু কালো নয় তার হাড়, নাড়িভুড়ি এবং ডিমের রঙও হালকা কালচে । তবে “কালো মাসি’র ভারতীয় প্রজাতির ডিম হালকা সোনালির রঙের । করোনা আবহে এই কালো মুরগি আর তার সোনালি ডিমের চাহিদা তুঙ্গে। কেন? ভাবছেন কী আছে এই কালো মুরগিতে?

গবেষকরা হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েছেন যে এই মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক অনেক গুণ বেশি। বিশেষত এখন করোনা দূর করতে চিকিত্‍সকরা যেমন ধরনের খাওয়া দাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, তাতে সব দিক দিয়ে আদর্শ কড়কনাথ মুরগি। কালো মুরগি বা কড়কনাথ মুরগিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও অন্যান্য খাদ্যগুণ। অন্যান্য মুরগির তুলনায় এই প্রজাতির মুরগির পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এই মুরগিতে কোনও ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলও থাকে না। রয়েছে আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বি১, সি, ই, বি১২, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস। কড়কনাথে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এর ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। এই সুস্বাদু মাংসে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকার কারণে হার্টের জন্য বেশ ভাল। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খণিজ উপাদান থাকার কারণে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি থাকে না।

এই মুরগির দাম কত? শুনলে আঁতকে উঠতে হবে। এমনিতে প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। আর এই কোভিড পরিস্থিতিতে এই মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও বেড়ে হয়েছে ৫ হাজারের কাছাকাছি। তবে দরাদরি করলে হয়তো। এর একটি ডিমের দাম ৫০ টাকা।

কিন্তু কড়কনাথ পাবেন কোথায়? আমেরিকার ফ্লোরিডায়, ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের কেমানি এলাকায় প্রথম এদের দেখা পাওয়া যা। সেখানে একে অ্যায়াম কেমানি চিকেন বলা হয়। ভারতেও পাওয়া যায় কালো মুরগি। মধ্যপ্রদেশের ঝাউবা, আলিরাজপুর, বারওয়ানি ও ধর জেলায় এই মুরগির চাষ হয়। মধ্যপ্রদেশের আদিবাসীরা ইন্দোনেশিয়া থেকে মুরগি নিয়ে এসে হাইব্রিড প্রজাতির মুরগি সৃষ্টি করে। তারপর থেকেই দেশে কালো মুরগির চাষ শুরু হয়। তবে শুধু মধ্যপ্রদেশ এখন কর্ণাটক, কেরল, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এমনকী পশ্চিমবঙ্গেও পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা ও কুলপিতে এই মুরগির চাষ শুরু হয়েছে।

Advt

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleদেশের ঘাটতি মেটাতে রণতরীতে অক্সিজেন বয়ে আনার দায়িত্ব নিল নৌ বাহিনী