ভোটে হারের পরেও বিজেপির বিরুদ্ধে বেলাগাম সন্ত্রাসের অভিযোগ,কোচবিহারে পুড়লো তৃণমূল কার্যালয়

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ফের বাংলার মসনদে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী (CM) হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর আসছে। কোথাও আক্রান্ত বিজেপি, আবার কোথাও তৃণমূল। মারধর, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। হাত গুটিয়ে বসে নেই প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে কড়া ভাষায় সন্ত্রাস দমনের বার্তা দিয়েছেন।

অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) রাজ্যজুড়ে নিজেদের ভরাডুবি ও দুর্বল সংগঠনকে ঢাকতে একতরফা ভাবে সন্ত্রাসের জন্য শাসক দলের দিকে আঙুল তুলছে। এমনকি, এই অজুহাতে সংসদীয় গণতন্ত্রকে পদদলিত করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য নবগঠিত বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচন বয়কট করেছে। বরং, একের পর এক ফেক ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সন্ত্রাসে উস্কানি দিতেই ব্যস্ত গেরুয়া শিবির।

তারই মাঝে কোচবিহারের (Coachbihar) তুফানগঞ্জে (Tufanguni) তৃণমূলের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের মাথার জেলাগুলিতে অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করেছে বিজেপি। আর সেই জায়গাগুলিতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ব্লকের নাককাটিগছ অঞ্চলের কামাত ফুলবাড়ি এলাকার ২০১ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গতকাল, শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূলের ওই পার্টি অফিসটি ভস্মীভূত হয়েছে এবং সমস্ত সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। দলের পক্ষ থেকে তুফানগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advt

Previous articleহ্যাট্রিক! তৃতীয়বার বিধানসভার অধ্যক্ষের আসনে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleশান্তির বার্তা দিয়ে বিজেপি কর্মীদের পাশে তৃণমূল