আব্বাস সিদ্দিকি ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছেন তো? কটাক্ষের প্রশ্ন ত্বহার

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছিল বাম-কংগ্রেস। তারপর তাতে যোগ দেয় আইএসএফ (Isf); যা প্রতিষ্ঠা করেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui)। একজন পীরজাদার সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন আরেক পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি (Twaha Siddiqui)। তাঁর মত ছিল, বাংলায় সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) হাত শক্ত করা উচিত। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে গোহারা হেরেছে সংযুক্ত মোর্চা। বাম-কংগ্রেস (Left-congress) একটি আসনও পায়নি। আব্বাসের আইএসএফ পেয়েছে একটি আসন। এই বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন ত্বহা সিদ্দিকি।

তিনি স্পষ্ট জানান, ফুরফুরা শরিফ ধর্মস্থান। এখানে রাজনীতির কোনও স্থান নেই। এখানকার নাম নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করতে যাবেন, বাংলার মানুষ তাঁদের জবাব দেবেন। প্রথমেই তিনি বাংলার হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সম্প্রীতি রক্ষায় ভোট দেওয়ার জন্য। নির্বাচনের আগে আব্বাস বলেছিলেন, 100 টা আসন না পেলে তিনি বাংলা ছেড়ে চলে যাবেন। সেই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেন ত্বহা। প্রশ্ন তোলেন, আব্বাস ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছেন তো?

আরও পড়ুন- নম্র, বিনয়ী হয়ে মানুষের সেবা করতে হবে, দলীয় বিধায়কদের চিঠি লিখে পরামর্শ মমতার

ত্বহা সিদ্দিকির অভিযোগ, যাঁরা আব্বাসের কথায় পথে নেমে ছিলেন, ভোটের পরে তাঁদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখছেন না আব্বাস। এমনকী, তাঁরা আক্রমণের শিকার হলেও, আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ত্বহা স্পষ্ট বলেন, “বাম-কংগ্রেস হাতে স্ট্রেচার নিয়ে ঘুরছিল। আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে হাত মেলানোর পরে সোজা খবরে চলে গিয়েছে।” বাংলায় সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রাখতে তৃণমূলে একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।

আরও পড়ুন- নম্র, বিনয়ী হয়ে মানুষের সেবা করতে হবে, দলীয় বিধায়কদের চিঠি লিখে পরামর্শ মমতার

Advt

Previous articleনম্র, বিনয়ী হয়ে মানুষের সেবা করতে হবে, দলীয় বিধায়কদের চিঠি লিখে পরামর্শ মমতার
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ