উত্তর কলকাতায় চালু হল অক্সিজেন পার্লার, অ্যাম্বুলেন্স কেন্দ্র

“এলাকার কেউ দুশ্চিন্তা করবেন না। শ্বাসকষ্ট হলে অক্সিজেন আছে। অ্যাম্বুলেন্স আছে। সবাই আছি পাশে।”
করোনাযুদ্ধে সহনাগরিকদের কাছে এই বার্তা দিয়ে সময়োপযোগী অভিনব পদক্ষেপ নিল বাংলা সিটিজেন্স ফোরাম এবং রামমোহন সম্মিলনী। উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিট মোড়ে রামমোহন রায় রোডের নগেন্দ্র মঠ ও মিশন প্রাঙ্গণে রবিবার থেকে শুরু হল “অক্সিজেন পার্লার ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা কেন্দ্র।” তিন বেডের কেন্দ্র দিয়ে শুরু। আচমকা কারুর শ্বাসকষ্ট হলে প্রথম ধাক্কাটি সামলানো যাবে। এতে সহযোগিতা করছে রামকৃষ্ণ মেডিকেল কমপ্লেক্স। সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স। ন্যায্য দরে। একেবারে অসহায় মানুষের জন্য ফ্রি। এর পরিচালক দীপক প্রামাণিক বলেন,” অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মানুষ যাতে সমস্যা না পড়েন তাই এই ভাবনা।” লকডাউনের জন্য অক্সিজেন পার্লারের উদ্বোধন ছিল একেবারে অনাড়ম্বর। ছিলেন মন্ত্রী সাধন পান্ডে, পুরসভার কোঅর্ডিনেটর জীবন সাহা, সাধনা বসু প্রমুখ। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ নিজেই এসবের অন্যতম সংগঠক। ছিলেন ডাঃ অশোক রায়, ইন্দ্রনাথ পাইন। বাংলা সিটিজেন্স ফোরামের মৃত্যঞ্জয় পাল ও ভাস্কর চৌধুরী বলেন,” উত্তর কলকাতায় এলাকাভিত্তিক পরিষেবায় আমরা আরও চারটি পার্লারের কথা ভাবছি। প্রস্তুতি চলছে।” রামমোহন সম্মিলনীর পক্ষে অনির্বাণ সেনগুপ্ত বলেন,” এছাড়া বাড়িতে আটকে থাকা বয়স্করা চাইলে তাঁদের দোকানবাজার করে দেওয়া বা রান্নাকরা খাবারের সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।” নগেন্দ্র মঠ ও মিশনের তরফে শ্যামল দত্ত ও অমর চট্টোপাধ্যায় বলেন,” আপাতত মন্দির বাইরের দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। এখন প্রথম কাজ মানুষের সেবা।” জয় মুখোপাধ্যায় বলেন,” এই পার্লার হাসপাতাল নয়। আচমকা শ্বাসকষ্ট হলে সামাল দেওয়ার জায়গা। এরপর রোগীকে নির্দিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আমরা পরিবারকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।” মিশনের প্রাঙ্গণে এই ব্যবস্থার প্রশংসা করেন সাধন পান্ডে। সাধারণ মানুষ, বিশেষত আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য পুরোপুরি বিনামূল্যে পরিষেবা দেবে এই অক্সিজেন পার্লার। সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন এলাকার মানুষই।

Advt

Previous articleদৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী, মৃত্যু লাগামহীন, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ লক্ষের বেশি
Next articleকোলাঘাটের ‘কোভিড কিচেন’, অসহায় রোগীদের দুবেলা খাবার দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা