চার্জশিট পেশের পরেও হেফাজতের আর্জি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

নারদ মামলায় সোমবারের মতো শুনানি শেষ। আদালত এখনও রায় জানায়নি। এদিন গ্রেফতারের পর
ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করে সিবিআই(Cbi)। মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাক্তন আইপিএস এসএমএইচ মির্জারও।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা রুজু হয়। ধৃত চারজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চায় সিবিআই। কিন্তু আদলত জানতে চায়, যখন চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তখন হেফাজতে নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে?

এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, চারজনই প্রভাবশালী। সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।

আদালতে অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, ৪ অভিযুক্ত তদন্তে সহযোগিতা করেননি এমন অভিযোগ নেই। তারা দায়িত্বশীল নাগরিক। পুরসভায় করোনা মোকাবিলার দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম। তার গ্রেফতারিতে কলকাতা অসহায় হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে কল্যাণ অভিযোগ করেন, রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই চার্জশিটের অনুমতি দেওয়ার। প্রশ্ন ওঠে একই মামলায় অভিযুক্ত থাকা সত্বেও বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক মুকুল রায়-শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার নয় কেন? শুনানি শেষে এখনও রায় জানায়নি আদালত।

Advt

Previous articleপুরনো লজঝড়ে অ্যাম্বুলেন্সও মন্ত্রীর হাতের ছোঁয়ায় ঝকঝকে নতুন!
Next articleরাজ্যের মন্ত্রী বিধায়কদের সিবিআই গ্রেফতারের নিন্দায় বিশিষ্টজনেরা