রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়কদের সিবিআই গ্রেফতারের নিন্দায় বিশিষ্টজনেরা

নারদকাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ পাশাপাশি, রাজ্যে নবনির্বাচিত বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ আজ সোমবার নারদ কাণ্ডে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই । কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের এই গ্রেফতারের পদ্ধতি নিয়ে নিন্দায় সরব বিশিষ্টজনরা।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, আগেই বলেছি আমরা শুধু রাজনীতি করতে শিখেছি, মানুষকে বাঁচাতে শিখিনি। দয়া করে এগুলো বন্ধ হোক। না হলে কিন্তু আমাদের ঠাঁই হবে ইতিহাসের পাতায়। এগুলো কী চলছে?

বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক তথা বর্ষীয়ান অভিনেতা রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, মানুষ এখন কোভিড থেকে বাঁচতে মরিয়া। সেই সময় এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় । তিনি যে দলেরই হোন না কেন, মানুষ আগে না বাঁচলে এই রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি রাজ্যের মানুষকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেবে।

লিভার ফাউন্ডেশনের কর্ণধার বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, আমি রাজনীতির লোক না। কিন্তু একটা জিনিস বুঝি, এই পরিস্থিতিতে যা চলছে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ হওয়া উচিত ।

জাতীয় শিক্ষক অশোক ভৌমিক বলেন, এটা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়। রাজনীতির আঙিনা কতটা নিচে নামতে পারে আজকের ঘটনা তার প্রমাণ।

অভিনেতা বাদশা মৈত্র আজকের গ্রেফতারের ঘটনাকে কোনওভাবেই সমর্থন করতে রাজি নন। তার বক্তব্য, সিবিআই যা করেছে সেটা আইন মেনে করা উচিত ছিল।

কোভিডকালে বর্ষীয়ান নেতাদের আচমকা এই গ্রেফতারি নিয়ে এবার সরব হলেন টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তৃণা সাহা। তাঁর কথায়, করোনা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজকের ঘটনা না ঘটলেই ভালো হতো। লকডাউন জারি হয়েছে। বাংলার মানুষ এবং প্রশাসন একজোট হয়ে চেষ্টা করছে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। এই সময়ে এই ধরনের ঘটনায় যে বিক্ষোভ হবে, এ তো জানা কথা। যাঁরা এই ঘটনার নেপথ্যে, তাঁরা কী আদৌ বাংলার ভালো চান?’

Advt

Previous articleচার্জশিট পেশের পরেও হেফাজতের আর্জি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের
Next articleঅতিরিক্ত বিলের অভিযোগ, এই তিন হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা