অবশেষে যুদ্ধবিরতি! গাজা ভূখণ্ডে চলা অশান্তির ইতি টানল ইজরায়েল

টানা ১১ দিন রক্ত ঝড়ার পর শেষমেশ থামল গাজা ভূখণ্ডে চলা অশান্তি। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন উভয় দেশই এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর থেকে এই ঘোষণা করার পরই স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় উভয় দেশই।
ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্যালেস্তাইনের সঙ্গে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু সরকারের উপরে আমেরিকার চাপ প্রবল ভাবে বাড়ছিল। তাই একতরফা ভাবেই গাজ়ায় সেনা অভিযান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হামাসের এক কর্মকর্তাও যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করেছেন।
ইজরায়েলের তরফে গতকাল সকাল পর্যন্ত জানানো হয়েছিল, যাই হয়ে যাক না কেন , এই যুদ্ধবিরতির কোনও সম্ভাবনা নেই। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, “হামাস শান্ত না হলে আমরা গাজা জয় করে নেব। হয় ওদের রুখব, নয় গাজা আমাদের হবে। যুদ্ধবিরতি এখনই না”। কিন্তু বেলা গড়ানোর পর মিশরীয় মধ্যস্থতায় প্রস্তাব মেনে নেয় ইজরায়েল। মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। তারপরই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি গাজ়ায় অশান্তি থামানোর আবেদন জানান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজ়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানান, যে কোনও উপায়ে গাজ়া ভূখণ্ডে হিংসা বন্ধ করাই আমেরিকার লক্ষ্য।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৬৪ শিশু এবং ৩৮ জন মহিলা সহ কমপক্ষে ২২৭ প্যালেস্তাইনি মারা গিয়েছেন এবং ১,৬২০ জন আহত হয়েছেন। একই সাথে ইসলামিক জিহাদ সংস্থা জানিয়েছে যে, ২০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে প্রায় ৫৮,০০০ প্যালেস্তাইনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে।
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, একের পর এক হামলায় বিধ্বস্ত গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য পরিষেবা গড়ে তোলার জন্য অবিলম্বে ৭০ লক্ষ ডলার আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। গাজার ক্ষতিগ্রস্থ নাগরিকদের সবরকম সহায়তা ও পুনর্বাসনে এগিয়ে আসবে আমেরিকা বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

Advt

Previous articleএবার করোনায় আক্রান্ত ভারত ফেরত ১১বছরের শিশু
Next articleটিকা পেতে ভোগান্তি বাড়ছে, চিনা ভাষার চুক্তিতে না বুঝেই সই করেছে বাংলাদেশ!