‘দামে কম মানে ভালো’, কাকলী ফার্ণিচারের দৃষ্টি এখন কলকাতায়!

খায়রুল আলম, ঢাকা

নেটদুনিয়ায় চরম মাত্রায় ভাইরাল ওপার বাংলার কাকলী ফার্ণিচারের স্লোগান; ‘দামে কম, মানে ভালো’।

ঢাকার গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় কাকলী ফার্ণিচারের প্রধান শোরুম। ভাইরাল হওয়া এই ফার্ণিচার ব্যবসার দেখাশোনা করেন এস এম সোহেল রানা ও আমান উল্লাহ। বাবা হাজী আবুল কাশেমের হাত ধরে এ ব্যবসার হাল ধরেন তারা। ঢাকা-কলকাতায় ভাইরাল হওয়া কাকলী ফার্ণিচারের বিজ্ঞাপনী সাড়ায় যারপরনাই উচ্ছ্বসিত তারা।

কাকলী ফার্ণিচারের প্রতিষ্ঠাতা হাজী আবুল কাশেম জানান, তিনি অন্তত ২০ বছর ধরে কাঠমিস্ত্রির কাজ করছেন। বাড়িতে ছোটখাটো কারখানা আছে। বছর দশেক আগে বাড়ির পাশে মাওনা চৌরাস্তায় কাকলী ফার্ণিচার নামে একটি শোরুম খোলেন।তিনি আরও বলেন, ‘আমি কৃষক মানুষ। বাড়িতেই থাকি। কাঠের ব্যবসা করি বেশ কয়েক বছর। আমার এক ছেলে সোহেল রানা ও এক মেয়ে কাকলী। তার নামেই এ ব্যবসা।’

জানা গেছে খোদ দিল্লিতে ও  বলিউডের বিনোদন জগতের তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সবাই কাকলী ফার্ণিচার নিয়ে টিকাটিপ্পনি বা পোস্ট করতে পিছিয়ে নেই। ‘দামে কম, মানে ভালো’- এই যে স্লোগানটি কাকলী ফার্ণিচারের বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হয়েছে সেটিও এখন পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে! ঢাকা-কলকাতায় ভাইরাল কাকলী ফার্ণিচারের নাম ছড়িয়ে পড়ায় আনন্দিত আবুল কাশেম। বললেন, ‘আমি তো শুনছি। ইন্টারনেটে মানুষরা এটা নিয়ে কথা বলছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।’

সোহেল রানা পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি বলেন, ‘তিনটি শোরুম আছে আমাদের। মাওনা চৌরাস্তায় প্রধান শোরুম, দ্বিতীয়টি ময়মনসিংহের ভালুকায়। তিন নম্বরটি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ধোপাখোলায়। এর বাইরে নেই।’ দশ বছর আগে থেকেই ‘দামে কম মানে ভালো’ স্লোগানটি বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে জানান সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে স্লোগানটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’ ভাইরাল হওয়ায় বিজ্ঞাপনগুলো সোহেল রানার বানানো বলে জানান তিনি।

ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বিক্রি বেড়েছে বলে জানালেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘নেটিজেনদের কারণেই ভাগ্য খুলছে। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ আগামী দিনে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন সোহেল রানা।

সোহেল রানা আরও জানান, সরকারের সহযোগিতা পেলে দেশের বাইরেও কাকলী ফার্ণিচারের শোরুম খোলার ইচ্ছে আছে তাদের। বিশেষ করে কলকাতায়। তিনি বলেন, ‘দামে কম মানে ভালো’ স্লোগান এখন জনপ্রিয়। তাই প্রতিষ্ঠানের পরিসর বড় করার সুযোগ আছে তাদের। দরকার শুধু সহযোগিতা। টাকা হলে সবার আগে কলকাতাতেই শোরুম খোলা হবে বলে জানান সোহেল।

আরও পড়ুন- টিকার সংকট! দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না ১৫ লক্ষ মানুষ

Advt

Previous articleএবার রানাঘাট জিআরপি মোড়ে চালু হল ‘মা’ ক্যান্টিন
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ